
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন সমুহ।
রবিবার (৩ মে) দুপুর ১২টায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডোমার রেলগেট মোড়ে এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে মিলিত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু ও সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন।
বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। তারা বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধন চলাকালে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু, সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন, যুবদলের আহ্বায়ক ইফতেখারুল আলম তিতুমীর, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম পাপ্পু, শ্রমিক দলের সদস্য সচিব লোকমান হোসেন লাভলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরানুল হক, জাসাস আহ্বায়ক মুকুল সওদাগর, কৃষক দলের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন হিরো এবং জিয়া পরিষদের আহ্বায়ক তমিজ উদ্দিন।
সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন বলেন, “আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডোমারের কৃতিসন্তান, আমাদের নয়নমনি ও উন্নয়নের কান্ডারি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে মুক্তি দিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, সকল সাজা বাতিল করে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়া হোক।”
সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, “তুহিন ভাই আমাদের গর্ব। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত বাতিল করতে হবে।”
বক্তারা আরও জানান, ৫ আগস্টের পর অনেক নেতার মামলা বাতিল হলেও এখন পর্যন্ত তুহিনের মামলা বাতিল করা হয়নি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে আগামীতে নীলফামারী জেলায় কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেন।##
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন ঢাকার পৃথক দুটি বিশেষ জজ আদালতে তার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন। প্রথমে কর ফাঁকির মামলায় জামিন শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর কিছুক্ষণ পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারকও তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।