
কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে হট্টগোল দিয়ে সম্মেলনের শুরু হলেও চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ নির্বাচনে ফলাফল হয়েছে শান্তিপূর্ণ। বুধবার বেলা ১১ঃ০০ টায় মোংলার টাটিবুনিয়া মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের আলোচনা সভার শুরুতেই বক্তব্যের জন্য নাম ঘোষণা হয় বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল হালিম খোকনের। তিনি মঞ্চে উঠে মাইক হাতে নিয়েই অশ্লীল বাক্য ছুড়তে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই শুরু হয় হট্টগোল। পরে অবশ্য কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। আব্দুল হালিম খোকন বক্তব্য দিয়ে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। তার এই উদ্যোত্তপূর্ণ আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে উপস্থিত বিএনপি’র কর্মী-সমর্থকেরা।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি নেতা জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, এম এ সালাম, মোজাফফর রহমান আলম, কামরুল ইসলাম গোরা, খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম, সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক, শাহেদ আলী রবি, মনিরুল ইসলাম খান, কাজী খায়রুজ্জামান শিপন সহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সভায় সভাপতিত্ব করেন মোংলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক স ম ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
দ্বিতীয় পর্বে বেলা সাড়ে বারোটায় ছয়টি ইউনিয়নের কাউন্সিলরগন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ৪২৬ জনের মধ্যে ৪২৩ জন কাউন্সিলর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচন করেন। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ফলাফল ঘোষণা করেন বাগেরহাট – ৩ (রামপাল মোংলা) সংসদীয় আসনের নির্বাচন মনিটরিং টিম প্রধান বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম গোরা।
ঘোষিত ফলাফলে আব্দুল মান্নান হাওলাদার ২৩০ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স ম ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ১৯০ ভোট। আবু হোসেন হাওলাদার (পনি) ১৯০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ রুস্তুম আলী পেয়েছেন ১৮৭ ভোট। অন্য দুই প্রার্থী ঝংকার ফকির ২৮ ও মৃধা ফখরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৮ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শেখ সাকির হোসেন ১৯৫ ভোট পেয়ে ১ম ও মৃধা ফারুকুল ইসলাম ১৯১ ভোট পেয়ে ২য় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।