০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে চবি’র অফিস সহকারী মেহেদী বরখাস্ত

 চাকরি দেওয়ার নামে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পালি বিভাগের অফিস সহকারী মেহেদী হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক চবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ সোহাইব।
ভুক্তভোগী মুহাম্মদ ইয়াহিয়া তার দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘আমি মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। চবি উপাচার্য কার্যালয়ের নিম্নমান সহকারী মেহেদী হাসান আমাকে সেকশন অফিসার পদে চাকরি দেওয়ার নামে ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট নগদ ৪ লাখ টাকা নেন। এর ১৫-২০ দিন পরে আরও ১ লাখ টাকা নেন। চাকরি দিতে ব্যর্থ হলে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
আর চাকরি হলে আরও ১২ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান। কিন্তু চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়ে ২০২৪ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেন এবং ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে মাত্র ২ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। বাকি টাকা দিতে টালবাহানা করেন তিনি’। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া দেননি।
চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.সাইফুল ইসলাম  বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

অম্বিকাপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন শিশুকে ‘ধ’র্ষণ’, গ্রেপ্তার ২

ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে চবি’র অফিস সহকারী মেহেদী বরখাস্ত

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫৩:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
 চাকরি দেওয়ার নামে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পালি বিভাগের অফিস সহকারী মেহেদী হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক চবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ সোহাইব।
ভুক্তভোগী মুহাম্মদ ইয়াহিয়া তার দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘আমি মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। চবি উপাচার্য কার্যালয়ের নিম্নমান সহকারী মেহেদী হাসান আমাকে সেকশন অফিসার পদে চাকরি দেওয়ার নামে ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট নগদ ৪ লাখ টাকা নেন। এর ১৫-২০ দিন পরে আরও ১ লাখ টাকা নেন। চাকরি দিতে ব্যর্থ হলে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
আর চাকরি হলে আরও ১২ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান। কিন্তু চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়ে ২০২৪ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেন এবং ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে মাত্র ২ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। বাকি টাকা দিতে টালবাহানা করেন তিনি’। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া দেননি।
চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.সাইফুল ইসলাম  বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।