
একাত্তরের পর এই প্রথম, দেশের সশস্ত্র বাহিনী সরাসরি সাধারণ জনগণের ওপরে গুলি চালিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে। এই ভয়াবহ ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু গোপালগঞ্জ, এবং নেতৃত্বে ছিলেন যশোর ক্যান্টনমেন্টের জিওসি মেজর জেনারেল ইমদাদুল ইসলাম।
ইমদাদুল ইসলাম বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাত এর কেন্দ্রীয় নেতা নাসিরউদ্দীনের এর ছেলে।ছাত্র জীবনে উপজেলা ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি।প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী ও প্রতিরক্ষা সচিব কে ১৫ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে আওয়ামী লীগের আমলে লাফিয়ে লাফিয়ে পদোন্নতি ও যশোর ক্যান্টনমেন্টের জিওসি পদে আসীন হন।এই ঘুষের টাকার পুরোটাই সরবরাহ করেছে জামাত ইসলাম। এ প্রসঙ্গে একটি তথ্য দিয়ে রাখি সেটি হল,জামাত ইসলাম প্রশাসনের সব জায়গায় তাদের লোক সেটাপ করার জন্য বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে এবং ৫ আগষ্টে তারা সফল হয়েছে।রাজাকার কন্যা পরিবেশ উপদেষ্টা রিজয়ানা হাসান তার আপন ফুফা শাশুড়ী। সেনাবাহিনীর যে অংশ ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের জন্য বিদ্রোহ করেছিলেন উনি তাদের ৫ জনের মধ্যে ১জন।
গণতন্ত্রের নামে প্রহসনের নির্বাচনকে টিকিয়ে রাখতে, মানুষের কণ্ঠরোধ করতে ও আন্দোলন দমন করতে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলাফল – রক্তাক্ত গোপালগঞ্জ, ছিন্নভিন্ন শরীর, আর শোকবিহ্বল পরিবার। বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়ে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে, তা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কলঙ্কিত করেছে। এই কাজ কোনোভাবেই দেশের পেশাদার বাহিনীর হতে পারে না, এটা ছিল একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক নির্দেশে পরিচালিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।
গোপালগঞ্জে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক ও স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাধীন তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে হবে।
যশোর ক্যান্টনমেন্টর জিওসি ইমদাদুল ইসলামকে সামরিক আদালতে জবাবদিহির আওতায় আনা।
সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অবসান।
দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা,
বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তির পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এখানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছাকে রক্তাক্ত করা যাবে না।