
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরগামী ভ্রমণ তরী হাউসবোট ও পর্যটকবাহী লোকাল বোট সোনিয়া জল পরিবহনের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষে মাঝিসহ ৯ পর্যটক আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে সোনিয়া জল পরিবহন নৌকার মাঝি কামাল উদ্দিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট উসমানী মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
শনিবার (১৯জুলাই) দুপুর ২টায় উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের পার্শ্ববর্তী ছিলানী তাহিরপুর গ্রাম সংলগ্ন পাটলাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় আহতরা হলেন, সউথ ইস্ট ব্যাংকের সিলেটের একটি শাখার ম্যানেজার হাবিবুর রহমান, জগন্নাথপুর শাহজালাল কলেজের প্রভাষক আমিনুল হক, নাবিদ হাসান, সাকিন আহমদ, শামসুন্নাহার, শাসছিয়া, রেজুয়ান মিয়া সহ ৯জন।
জানাযায়, ঢাকা থেকে পরিচালিত দুতলা বিশিষ্ট ভ্রমণ তরী নামের হাউসবোটটি পর্যটক নিয়ে ভ্রমণ শেষে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে ফিরে আসছিল। অপর দিকে পর্যটকবাহী লোকাল সোনিয়া জল পরিবহন নামের ছোট বোটটি পর্যটক নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে নিলাদ্রী লেক পাড়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এমন সময় ছিলানী তাহিরপুরের সামনে পাটলাই নদীতে দুতলা বিশিষ্ট ভ্রমণ তরী হাউসবোটটি বেপরোয়া ভাবে এসে পর্যটকবাহী ছোট নৌকা সোনিয়া পরিবহনের উপরে তুলে দেয়। এ সময় সোনিয়া জল পরিবহনে থাকা মাঝি সহ পর্যটকরা আহত হয় এবং বোটটি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় গুরুতর আহত সোনিয়া জল পরিবহনের মাঝি কামাল উদ্দিন। তাকে সিলেট মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
সউথ ইস্ট ব্যাংকের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান জানান, আমরা ১৬জনের পরিবার পরিজন নিয়ে একটি ছোট নৌকায় হাওরে ঘুরতে এসেছি। যখন বড় হাউসবোটটি আমাদের নৌকার উপর তুলে দেয় তখন আমি নামাজে ছিলাম। মারাত্মক ধাক্কায় আমি নামাজ ছেড়ে দেখি আমার ভায়রাভাই দুই বাচ্চাসহ পানিতে পরে গেছে। তাৎকালিক আমি ও আমার ড্রাইভার পানিতে যাপ দিই। এবং তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করি। এমন সময় দূর থেকে একটি স্পিডবোট এসে আমাদের উদ্ধার করে। আল্লাহর দয়ায় আমরা প্রাণে বেচে যাই। তবে আমাদের ৫টি মোবাইল ও দুইটি ডিএসএলআর ক্যামেরা হারিয়ে যায়।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, পর্যটকবাহী দুই হাউসবোটে সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। দুই হাউসবোটের লোকজন থানায় আছে। আমরা বিষয়টা নিয়ে আলোচনায় আছি, সমাধানের চেষ্টা করছি।