০৫:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাছিমপুর বাজারের দুটি ব্রিজ

বালুবাহী বসল্কহেডের ধাক্কার কারণে মাছিমপুর বাজারের দুটি ব্রিজ ঝুঁকিতে রয়েছে। বাল্কহেডের ধাক্কায় ব্রিজের পিলার   গুলোর রড বের হয়ে গেছে।  প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি বালুবাহী বাল্কহেড বালু নিয়ে ব্রিজের নিচ দিয়ে চলাচল করে।
এতে ধাক্কায় ধাক্কায় ব্রিজ দুটির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।  সাধারণ জনগণের আশঙ্কা যে কোন সময় ব্রিজ দুটির
বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
তারা বলেন, এই দুটি ব্রিজ দিয়ে তিতাস, হোমনা, মুরাদনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার লোকজন চলাচল করে।  যদি কোন কারণে ব্রিজ দুটি ভেঙে পড়ে তাহলে সাধারণ জনগণের দূর্ভোগের সীমা থাকবে না। নদী পার হতে খেয়া লাগবে।
এবিষয়ে মাছিমপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম মাষ্টার বলেন, বালুবাহী বোডের প্রচন্ড আঘাতে প্রতি নিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্রিজ দুটি।   কোন কারণে ব্রিজ দুটি ভেঙে পড়লে ভোগান্তির শেষ থাকনে না।
বিএনপি নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসার কারণে তিতাসের সর্বত্র সমস্যা চলছে।
 বালুর বোডগুলো যেভাবে আচড়ে পড়ে ব্রিজের পিলারগুলোর উপর, তাতে ব্রিজগুলো ভাঙ্গতে বেশি সময় লাগবে না। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
মাছিমপুর বাজারের ব্যবসায়ী আঃ মতিন বলেন, অবাধে তীব্র গতিতে যেভাবে বালুর বোডগুলো চলছে,  তাতে ব্রিজ দুটি ভাঙ্গতে বেশি সময় লাগবে না।  আর ব্রিজ দুটি ভেঙে গেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে আমাদের।
সুতরাং প্রশাসনের উচিত এবিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এছাড়া যারা বালু ব্যবসায় করছেন, তারা বালুর বোড থেকে বালু কিনেন ৫-৬ টাকা ফুটে। আর ২ টাকা দিতে হয় ঠেলায়।   মোট ৮ টাকা।  সাধারণ জনগণের কাছে বিক্রি করছেন ১৪-১৫ টাকা রেটে। এছাড়াও বালু ব্যবসায় নিয়ে প্রতিটি এলাকায় রয়েছে সিন্ডিকেট।  বালু ব্যবসায়কে নিয়ে মারামারি হাঙ্গামা তো নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

করিমগঞ্জে মসজিদের দানব্রাক্সেের তালা ভেঙে টাকা চুরি

বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাছিমপুর বাজারের দুটি ব্রিজ

পোস্ট হয়েছেঃ ০২:১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
বালুবাহী বসল্কহেডের ধাক্কার কারণে মাছিমপুর বাজারের দুটি ব্রিজ ঝুঁকিতে রয়েছে। বাল্কহেডের ধাক্কায় ব্রিজের পিলার   গুলোর রড বের হয়ে গেছে।  প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি বালুবাহী বাল্কহেড বালু নিয়ে ব্রিজের নিচ দিয়ে চলাচল করে।
এতে ধাক্কায় ধাক্কায় ব্রিজ দুটির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।  সাধারণ জনগণের আশঙ্কা যে কোন সময় ব্রিজ দুটির
বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
তারা বলেন, এই দুটি ব্রিজ দিয়ে তিতাস, হোমনা, মুরাদনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার লোকজন চলাচল করে।  যদি কোন কারণে ব্রিজ দুটি ভেঙে পড়ে তাহলে সাধারণ জনগণের দূর্ভোগের সীমা থাকবে না। নদী পার হতে খেয়া লাগবে।
এবিষয়ে মাছিমপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম মাষ্টার বলেন, বালুবাহী বোডের প্রচন্ড আঘাতে প্রতি নিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্রিজ দুটি।   কোন কারণে ব্রিজ দুটি ভেঙে পড়লে ভোগান্তির শেষ থাকনে না।
বিএনপি নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসার কারণে তিতাসের সর্বত্র সমস্যা চলছে।
 বালুর বোডগুলো যেভাবে আচড়ে পড়ে ব্রিজের পিলারগুলোর উপর, তাতে ব্রিজগুলো ভাঙ্গতে বেশি সময় লাগবে না। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
মাছিমপুর বাজারের ব্যবসায়ী আঃ মতিন বলেন, অবাধে তীব্র গতিতে যেভাবে বালুর বোডগুলো চলছে,  তাতে ব্রিজ দুটি ভাঙ্গতে বেশি সময় লাগবে না।  আর ব্রিজ দুটি ভেঙে গেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে আমাদের।
সুতরাং প্রশাসনের উচিত এবিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এছাড়া যারা বালু ব্যবসায় করছেন, তারা বালুর বোড থেকে বালু কিনেন ৫-৬ টাকা ফুটে। আর ২ টাকা দিতে হয় ঠেলায়।   মোট ৮ টাকা।  সাধারণ জনগণের কাছে বিক্রি করছেন ১৪-১৫ টাকা রেটে। এছাড়াও বালু ব্যবসায় নিয়ে প্রতিটি এলাকায় রয়েছে সিন্ডিকেট।  বালু ব্যবসায়কে নিয়ে মারামারি হাঙ্গামা তো নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার।