
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা মামুনুল হক হক বলেছেন, বিগত ২০০৮ সাল থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত ১৫ বছর বাকশালী ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ, নতুন আওয়ামী জাহেলিয়াত, যুগের নব্য ফেরাউন, লেডি ফেরাউন খ্যাত ও ভারতীয় একটি অঙ্গরাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে তার জুলুম এবং ফ্যাসিবাদের মাধ্যমে নিষ্পেষণ করে একতরফাভাবে নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা করেছেন।
শবিবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৪ টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছেন আর বাংলাদেশের মানুষের রাজনীতি, অর্থনীতি ও ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে দিল্লি থেকে।
ড. ইউনুস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ড. ইউনুসকে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ওয়াশিংটনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র করলে তা রুখে দেয়া হবে। বর্তমান সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, যদি মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করা হয় তাহলে বাংলাদেশের জনগনের ম্যান্ডেট নিতে হবে। রাজনৈতিক সরকার এ সিদ্ধান্ত নিবে । ৩ দিনের অস্থায়ী মেহমান সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখে না। এজন্য সকল রাজনৈতিক দলের মতামত নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার এজেন্ডা আমাদের স্পষ্ট জানা রয়েছে, তারা পৃথিবীর দেশে দেশে নির্লজ্জভাবে অশালীন মানবাধিকারের নামে
সমকামিতার মতো অভিশাপকে চাপিয়ে দেয়। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই বাংলাদেশের ধর্মীয় অনুভূতিকে যদি আঘাত দেয়া হয় এবং সমকামিতাকে বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে গোটা বাংলাদেশ কারবালার প্রান্তরে পরিণত হবে।
তাই আমি বর্তমান সরকারের কাছে উদত্য আহবান জানাতে চাই, এদেশের মানুষ আপনাদের কে অনেক সম্মান দিয়েছে, অনেক ভালোবাসা দিয়েছে, মানুষের ধ্বসে পড়া অর্থনৈতিক ভীত নতুন করে গঠন করুন। বিগত সময়ের পাচার করা লক্ষ লক্ষ ডলার ফিরে আনুন। ফিরিয়ে এনে দেশের মানুষের কল্যাণে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করুন। বিগত দিনের এজেন্ডা বাতিল করে বাংলাদেশের মানুষ যাতে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে সে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করুন।
এসময় তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কুড়িগ্রামের ৪টি আসনের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন। প্রার্থীরা হলেন কুড়িগ্রাম-০১ মাওলানা শহিদুল ইসলম, কুড়িগ্রাম-০২ মুফতি নুরুদ্দীন কাসেমী, কুড়িগ্রাম-০৩ মামুনুর রশীদ ও কুড়িগ্রাম-০৪ মুফতি শাহাদত হোসেন।
খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মুফতি ইব্রাহিম খলিল নোমানী এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিসবাহুল ইসলাম সুজা এর সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শারাফাত হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ।