মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নোহাটা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান টিটোর বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (রিমি খাতুন-১১) শ্লীলতাহানীর অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলাও হয়েছে।
মামলার বাদী শিশুটির চাচা রেজাউল মৃধা ও শিশুটির মা রুমি বেগম জানান,উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের নোহাটা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা,ইউনুস আলীর পুত্র, নোহাটা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান টিটো বেশ কিছুদিন ধরেই তার কন্যা ও ওই প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ( রিমি খাতুন-১১)কে উত্যক্ত করে আসছিল । এরই এক পর্যায়ে গত ৩০ এপ্রিল বুধবার ১:২০ ঘটিকার সময় শ্রেণি শিক্ষক মিজানুর রহমান টিটো ভবনের দ্বিতীয়তলায় চতুর্থ শ্রেণির বাংলা ক্লাস নিচ্ছিলেন। ক্লাস চলাকালীন সময়ে ওই শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে উক্ত ছাত্রী বাথরুমে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। কিছুক্ষণ পরেই শ্রেণি শিক্ষক টিটো ক্লাস থেকে বের হয়ে ছাত্রীটির পিছু নেন । ছাত্রীটি বাথরুম থেকে বের হতে না হতেই লম্পট শিক্ষক তার হাত ধরে জোর করে টেনে হেচড়ে ভবনের তৃতীয়তলার সিড়ির রুমে নিয়ে যায় । রুমের মধ্যে শিশুটিকে একা পেয়ে তার মুখ চেপে ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শরীরের স্পর্শকাতর বিভিন্ন স্থানে হাত বুলায়, চুমু দেয় এবং পরনের কাপড় খুলতে বলে। এসময় শিশুটি চিৎকার দিতে গেলে তার মুখ চেপে ধরা হয় এবং তাকে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে শিশুটি বাড়ি ফিরে উক্ত শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়টি তার মাকে জানায়। শিশুটির মা বিষয়টি জানার পর তার দেবর অর্থ্যাৎ শিশুটির চাচা রেজাউল মৃধাকে সাথে নিয়ে শ্রীপুর থানায় আসেন এবং শিশুটির চাচা রেজাউল মৃধা বাদী হয়ে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীপুর থানা পুলিশ প্রাথমিকভাবে এলাকায় খোজ-খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ২ মে শুক্রবার রাতে শ্রীপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেন।
এবিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন,বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারা মোতাবেক থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। যার মামলা নং- ০৩,তাং- ০২-০৫-২০২৫। তবে, পরবর্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রশীদ বলেন, তিনি খুলনাতে ট্রেনিংয়ে থাকার কারণে ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তবে, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী শ্লীলতারহানীর কোন প্রমানিত অভিযোগ পেলে দাপ্তরিক নিয়মে অবশ্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।