সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরের হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম ফকিরের বিরুদ্ধে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন প্রধান শিক্ষক নিয়মবহির্ভূতভাবে কেন্দ্রের ভেতরে প্রভাব বিস্তার করছেন। তার ছেলে মাহাতির মোহাম্মদ, যিনি সৎপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী, তিনি পরীক্ষা দিচ্ছেন হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে, যেখানে তার পিতা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্তদের তালিকায় তার নাম না থাকলেও তিনি কেন্দ্রের ভেতরে অবাধে বিচরণ করেছেন।

এছাড়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, খায়রুল আলম ফকির প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও গণনার সময় উপস্থিত ছিলেন এবং একই কেন্দ্রে নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একই কক্ষে বসিয়ে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষায় নির্দিষ্ট শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে পরীক্ষা বিধি লঙ্ঘন করেছেন।

অভিযোগকারীরা জানান, এ বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। এলাকাবাসী হিসেবে তারা বিষয়টিকে লজ্জাজনক বলেও উল্লেখ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খায়রুল আলম ফকির অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেন, “আমার ছেলে পরীক্ষার্থী হওয়ায় আমি পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলাম না। যেসব শিক্ষক দায়িত্বে ছিলেন, তা নির্ধারণ করেছেন কেন্দ্র সচিব। কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন।”

অভিযোগকারীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষায় সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।