"আসন্ন নতুন কারিকুলাম ২০২৭ "
২০২৭ সাল থেকে নাকি আবারো কারিকুলাম পরিবর্তন হতে যাচ্ছে,অবশ্য এটা হওয়া বাঞ্চনীয়।সরকার পরিবর্তন এর পর চাপিয়ে দেওয়া কারিকুলাম বাদ দিয়ে ২০১২ সালের কারিকুলামে ফিরে যেতে হয়েছে ,অবশ্য এ ছাড়া কোনো উপায় ও ছিলোনা। তবে আমি এটাকেও খুব বেশি স্বাদুবাদ জানাতে পারছিনা।যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যুগোপযোগী ,মানসম্মত,ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সমাদৃত একটি কারিকুলাম প্রয়োজন। শোনা যাচ্ছে ১৫ টি দেশের কারিকুলাম এর সমন্বয়ে রিচার্জ করে এটি প্রনয়ণ করতে যাচ্ছে এন সিটিবি।তবে বাস্তবায়নের আগে আমার কিছু কথা আছে....
প্রথমেই পাব্লিশ করা উচিত কোন কোন দেশের কারিকুলাম রিচার্জ করা হচ্ছে এবং এটার সাথে কে কে যুক্ত আছেন? এটা কেন জরুরি? এটা এ জন্য জরুরি ,বিগত আমলে সিঙ্গাপুর ,জাপান,ফিনল্যান্ড এর কারিকুলাম বিশ্লেষণ করে চাপিয়ে দেওয়া কারিকুলাম কেউ একসেপ্ট করেনি(আমরা জানতাম ই না এটি কিসের আলোকে করা হয়েছে).তাই আমরা এখন বিভিন্ন সোর্স থেকে কিছু পড়ে দেখতাম কোন দেশের কারিকুলাম কেমন?
কারিকুলাম এ এমন গবেষকদের যুক্ত করা উচিত,যারা মূলত শিক্ষা নিয়ে কাজ করে,আমরা রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত (যারা শিক্ষায় সংশ্লিষ্ট হয়েও চাটুকার) এমন কেউ কারিকুলামের সাথে যুক্ত থাকলে এক্ষুনি বাদ দিন।
আমরা গত কারিকুলামে দেখেছি যারা বই লিখেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই গুগল ট্রান্সলেট করেছেন (যা ইতোমধ্যে প্রমানিত) এবং প্লেজারিজমের আওতায় ও অনেকেই ছিলেন। আমরা এ ধরনের বুক রাইটারদের চাইনা। বুঝেন তো চুরি করলে এখন ধরা সোজা।
যে সব স্কুলে পাইলটিং চালু করবেন (জানিনা করবে কিনা),গত কারিকুলামের মতো শিক্ষকদের জোড় করে ভালো বলে চাপিয়ে দেওয়ার রীতি বন্ধ করতে হবে। প্রান্তিক,রুরাল পর্যায়ে এক্সপার্টরা পড়ান না। সো সেখানের অবস্থা তাদের জানার কথা না।আমার কথা হলো ,শুরু করার আগে গ্রামীন জনগোষ্ঠী,শিক্ষার্থী,অভিভাবক,শি
বিজ্ঞানের বিষয়গুলো আরো আপডেট হওয়া উচিত।বর্তমান পদার্থ বিজ্ঞান বই দেখলে কান্না ছাড়া উপায় নেই। পদার্থ ,রসায়ন এর মতো বিষয়গুলোকে আরো তথ্যে,গানিতিক সমস্যাবলি ,ছবি,উপাত্ত ,নতুন টপিক্স যুক্ত করা উচিত।পাশাপাশি অনেক ব্যবহারিক বিষয় ও যুক্ত করা উচিত।
সবচেয়ে যে বিষয়টি জরুরি ,প্রশিক্ষনের বিষয়গুলো আরো সহজ করা ,আমরা বিগত কারিকুলামে দেখেছি,এমন কিছু শব্দ ,বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে ,আমি বিজ্ঞানের মাষ্টার ট্রেইনার হয়েও বুঝতে পারিনি ,তাহলে অন্যরা কিভাবে প্রশিক্ষন নিবে।
যে কারিকুলাম ই বাস্তবায়ন করা হোক না কেন,পরীক্ষা পদ্বতি যেনো থাকে ,বিভিন্ন মূল্যায়ন নাম দিয়ে শিক্ষকদের হাতে বেশি নাম্বার না থাকার পক্ষে আমি।
অত্যধিক ডিভাইসমুখী,মাল্টিমিডিয়া ক্লাস আসলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের কত টুকু কাজে লাগে? একবার ভেবে দেখবেন।এখনো গানিতিক সমস্যা সলভ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ের স্পষ্ট বিশ্লেষণ বোর্ড ,মার্কার এর কোনো বিকল্প নেই।
সর্বোপরি কারিকুলাম বাস্তবায়নের মূল কারিগর হলো শিক্ষক,এদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা দেখেছি প্রশিক্ষনে এর রাতে বাড়ি ভাড়া ১৫০০ টাকা, অথচ শিক্ষকদের সারা মাসে দেওয়া হয় ১০০০ টাকা বাড়িভাড়া। শিক্ষকদের পর্যাপ্ত বেতন,গবেষনার সুযোগ করে দিতে হবে সরকারকে।
পরিশেষে কারিকুলাম বাস্তবায়ন এর আগে প্রচুর ফিল্ডওয়ার্ক হোক। অনেক তর্ক-বিতর্ক হোক,আরো গবেষনা হোক। এরপরেই চালু হোক, তবেই আশার আলো দেখতে পাবে ,নয়তো চাপিয়ে দিলে বুঝছেন তো কি হবে?
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com