যশোর ২, সংসদীয় আসন ৮৬, (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইনলামী তার সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ডা. মোসলেহ উদ্দিন ফরিদকে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছেন।
তবে যশোর-২ আসন থেকে ডা. মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ’র নাম ঘোষণার পর থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
এ আসন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকে ঝিকরগাছা গাজীর দরগাহ মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আরশাদুল আলমের প্রার্থী মনোনীত করলেও অবশেষে তিনি বাদ পড়েছেন।
ইতোমধ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে যশোর জেলা জামায়াত ইসলামীর কার্যালয়ে চৌগাছা-ঝিকরগাছা উপজেলার নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা করেছেনে ডা. ফরিদ।
জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বলছেন, আমরা তার ওপরে আস্থা রেখেছি। আশা করি তার হাত ধরে এ আসনের উন্নয়ন হবে। একই সাথে দলমত নির্বিশেষে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
জানা গেছে, শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইনটেনসিভ কেয়ার বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম শরীফ হোসেনের ছেলে ও যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (এমএম) কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল হাইয়ের ভাতিজা এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. মহিউদ্দিনের শ্যালক। তিনি ১৯৬১ সালে যশোরের খড়কি ঐতিহ্যবাহী পীর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করে। ১৯৭৭ সালে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৯ সালে একই ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিলেন। সেখান থেকে এমবিবিএস পাশ করে ঢাকা পিজি হাসপাতালে যোগ দেন। সেখানে ২ বছর চিকিৎসক হিসেবে কাজ করে উচ্চ শিক্ষা নিতে যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানে এমআরসিপিসিএইচ, এফআরসিপিসিএইচ এবং ডিসিএইচ ডিগ্রি নেন। তিনি দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি সেখানে ইউনিভার্সিটি হসপিটালস বার্মিংহামে কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইউরোপ-বাংলাদেশ ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর, আল কুরআন একাডেমি লন্ডন এর ট্রাস্টি, ইডেন একাডেমি কভেন্ট্রি ইউকের ট্রাস্টি এবং সেন্টার ফর অল্টারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ইউকে’র প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে ডা. মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জামায়াতে ইসলামীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমি দেশে এসেছি। আমি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ত্যাগ করে দেশে এসেছি। বর্তমানে আদ্ দ্বীন হাসপাতালে একজন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসার জন্য সরকার লন্ডনে পাঠানোর পরিকল্পনা করে। তবে প্রত্যেক আহতের সাথে এটেনডেন্টসহ পাঠানো এবং অন্যান্য জটিলতা তো রয়েছেই। সে কারণে লন্ডনে আহতদের না নিয়ে তাদের সেই মানের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য একটি চিকিৎসকদল বাংলাদেশে এসেছে। দলটি ঢাকাতে ইতোমধ্যেই চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছে। আমি সেই দলের প্রধান হিসেবে কাজ করছি।
এ আসনটিতে জামায়াতের রাজনৈতিক অবস্থান বেশ শক্ত। বিগত সময়ে ১৯৮৬ সালে মাস্টার মোঃ মকবুল হোসেন ও ২০০১ সালে মোহাদ্দিস আবু সাঈদ মোঃ শাহাদৎ হোসাইন এমপি হয়েছিলেন।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com