সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্বর্ণ চেইন চুরির ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশি তৎপরতায় এক নারীকে হাতে-নাতে আটক এবং পরবর্তীতে আরেক সহযোগী নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভিযানে উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া স্বর্ণ চেইন এবং একটি চেইন কাটার।

গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙ্গা বনপাড়া এলাকার মোছাঃ আনোয়ারা বেগম (৫০) চোখের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের তৃতীয় তলায় লিফটের সামনে অপেক্ষা করছিলেন।

এসময় পিছনে অবস্থানকারী নারী চোর মোছাঃ রিফুজা (২৬), পিতা-মৃত ফিরোজ মিয়া, সাং-ডরমন্ডল, থানা-নাসিরনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও তার অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক সহযোগী মিলে আনোয়ারা বেগমের গলা থেকে ১১ আনা ওজনের স্বর্ণ চেইন (লকেটসহ) একটি ছোট চেইন কাটার দিয়ে কেটে নেয়।

চেইন কাটা টের পেয়ে আনোয়ারা বেগম চিৎকার করলে উপস্থিত জনতা তাৎক্ষণিকভাবে রিফুজাকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে চেইন কাটারটি জব্দ করে। তবে তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এনায়েতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনারুল ইসলামের নির্দেশনায় এসআই মোঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটক নারীকে থানায় নিয়ে আসেন।

পরবর্তীতে রিফুজার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেলকুচি সার্কেল) হুমায়ুন কবির এবং ওসি আনারুল ইসলামের নেতৃত্বে কেজির মোড়স্থ এসআই বাস কাউন্টারের উত্তর পাশে অভিযান চালিয়ে সহযোগী মোছাঃ বানেছা বেগম (৬০), স্বামী-আস্রব আলী, পিতা-মৃত সিদ্দিক আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তল্লাশিতে তার দেহ থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণ চেইনটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় এনায়েতপুর থানায় ২৬ মে ২০২৫ তারিখে এফআইআর নম্বর ১০ অনুযায়ী একটি চুরির মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) মোঃ আনোয়ার হোসেনের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

পুলিশের দ্রুত ও পেশাদার কার্যক্রমে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ও সন্তোষের পরিবেশ বিরাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।