ঢাকার ধামরাইয়ে নিজ বসতঘর থেকে  দুই ছেলে ও তাদের মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ । এঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম বইছে। চলছে আলোচনা সমালোচনা।

সোমবার(২ জুন)   দুপুর ৩ টার দিকে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রামে নিজ বসত ঘর থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী নারগিস আক্তার(৪০), বড় ছেলে শামীম (১৬) ও ছোট ছেলে  সোলাইমান (৮)।

নিহত নারগিস আক্তারের মেয়ে নাসরিন আক্তার বলেন , প্রতিদিনের ন্যায় নারগিস আক্তার দুই ছেলে নিয়ে রাতে ঘুমাতে যায়। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও তাদের কোন সারা শব্দ পায় নি। মেয়ে নাসরিন আক্তার সকাল থেকেই মা নারগিস আক্তারকে ফোন দিলেও কেউ ফোন রিসিভ করেন নি। পরে নাসরিন আক্তার শশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে আসেন। বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করার পরও তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের ঢুকে দেখেন মা নারগিস আক্তার ও দুই ভাই শামীম এবং সোলাইমানের নিথর দেহ বিছানার উপর পড়ে রইছে। তাদের কোন সারা শব্দ নেই। তিনজনই অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে । একপর্যায়ে তাদের  মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়। বিষয়টি ধামরাই থানা পুলিশকে জানালে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে  নিহতের পরিবারের কেউ বলতে পারেন না।

স্থানীয়রা জানান, নারগিস আক্তার ও তার দুই ছেলেই ভালো মানুষ ছিল। এঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম বইছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, মাসহ দুই ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। ধারণা করা হচ্ছে হয়তোবা নিজেরাই  বিষ প্রাণ করে আত্মহত্যা করেছে। পোস্ট মর্টেম এর পর সত্যিটা জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে।