জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত অঞ্চল ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত ত্রিশাল উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের   "বিশ্ববিদ্যালয় দিবস" কত তারিখ হবে তা নিয়ে নানা রকম মতবিরোধ রয়েছে।

কারো কারো মতে এই দিবসটি হবে ১লা মার্চ , কারণ ২০০৫ সালের এই দিনে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

আবার কেও কেও মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হবে ২৫ মে। কেননা ২০০৬ সালের ২৫ মে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ উদ্ভোদন ঘোষনা করেন।

বিগত কয়েকবছর আবার ৬ মে তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়। কারন ২০০৬ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদে " জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বিল" পাস করা হয়। সেই সুবাদে বিগত কয়েক বছর এই দিনটিকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ " বিশ্ববিদ্যালয় দিবস" হিসেবে উদযাপন করে আসছিলো।

কিন্তু বাংলাদেশে যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেগুলোর প্রথম একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার দিনটিকেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। সেই সুবাদে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের " বিশ্ববিদ্যালয় দিবস" নিয়ে নতুন করে শুরু হয় নানারকম আলাপ আলোচনা।

২০০৭ সালের ৩ জুন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনে ১৩৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চারটি বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।

সেই দিনের সেই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি আব্দুর রউফ এবং অধ্যাপক ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর শামসুর রহমান। তাঁর সাথে ছিলেন চার বিভাগের চারজন শিক্ষক-- জনাব মার্জিয়া আক্তার, জনাব মোঃ মুহসিন উদ্দিন, জনাব মোঃ জাহিদুল কবীর, ও মোহাম্মদ আলী মনি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ডক্টর আতাউর রহমান ও জনাব আশরাফুল আলম মুকুল। এছাড়াও ময়মনসিংহ ও ত্রিশালের সাংবাদিকদের ও স্থানীয় জনগণের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এই আলোচনার প্রেক্ষিতেই ৩রা জুন কে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের " বিশ্ববিদ্যালয় দিবস" হিসেবে উদযাপন করা হয়।

আজ ৩ রা জুন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী বা  " বিশ্ববিদ্যালয় দিবস।"

কিন্তু পবিত্র ঈদুল আজহা, এবং গ্রীষ্মকালীন অবকাশের ছুটি থাকায় সীমীত পরিসরে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো খুবই নগন্য।

তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাধারন শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কলা অনুষদের ডিন ড. এমদাদুল হুদা জানান " পবিত্র ঈদুল আযহা এবং গ্রীষ্মকালীন অবকাশের ছুটির পর যথাযথ মর্যাদায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।"