এক এক করে ঘোষনা হচ্ছে ক্রমিক, নাম ও পিতা বা স্বামীর নাম। ইহা শোনে শত শত প্রত্যাশীদের মধ্যে সৌভাগ্যধারী আনন্দে ফেঁটে পড়ছে এবং নিজেকে সৌভাগ্যদের একজন নির্বাচিত হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে উপস্থিত করিম বিন আবু গিলাপকে জিগ্যেস করি, তখন তিনি বলেন, প্রক্রিয়াটি বেশ ভালো। সচ্চ ও দুর্নীতিমুক্ত। তবে তিনি আশংঙ্কা করছেন, যেহেতু দৈব চয়নে টুকেন তুলা হচ্ছে, সেখানে প্রকৃতভাবে যে প্রাপ্যদার ও যোগ্য, সে বাদ পড়ার সম্ভবনা থাকে। বাদ পড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীলদের নিকট জানতে চাইলে, ইউএনও মহোদয় বলেন, একটি অপেক্ষামান তালিকা প্রস্তুত করা হবে। যাচাই বাঁচাই শেষে নির্বাচিত তালিকায় যে বা যারা যোগ্য নয়, তাদের বাদ দিয়ে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রতিস্থাপন করা হবে।

এদিকে লাইনে দাড়ানো ৫০ বছর বয়সী নারী জুলেকা আক্তারকে চলমান প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে যেহেতু দৈবচয়ন (random selection) করা হয়, তাই যাঁরা প্রকৃতভাবে বেশি উপযুক্ত বা দরিদ্র, তাঁরাও বাদ পড়তে পারেন। এর ফলে যোগ্য ব্যক্তিরা উপেক্ষিত হতে পারেন, আর অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয়রাও নির্বাচিত হয়ে যেতে পারেন।

তাই উপস্থিত স্থানীয় জনতার দাবি, লটারিতে নির্বাচিতদের যথাযথ যাচাই করে, যারা যোগ্য নয়, তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্ররা যেন সরকারের এই সুবিধাটি পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বেশি। অন্যথায়, অসন্তোষ, প্রতিবাদ বা সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।