স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শুক্রবার বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার বনবেলঘরিয়া এলাকায় নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে এতে ঘটনা স্থলে ৩ জন আহত ও একজন নিহত হয়।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তৎক্ষনাৎ দুই জনের পরিচয় জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজন

নিহত সাগর আহমেদ। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। এবং আরেকজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি অটোরিকশার চালক মো. বাবু। তিনি নাটোর সদর উপজেলার হারিগাছা গ্রামের বাসিন্দা।

ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে তাঁদের বহনকারী অটোরিকশা বনবেলঘরিয়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা রাব্বী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চালক মো. বাবুর মৃত্যু হয়। এর আগে সাগরসহ তিনজন রাজশাহীর বানেশ্বরে আম কিনতে গিয়েছিলেন। তাঁরা বানেশ্বরে আম কিনে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নাটোরে আসছিলেন। সেখান থেকে তাদের ট্রেনে করে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল।

দূর্ঘটনাঘটার পর গুরুতর আহত অবস্থায় সাগরসহ তিনজনকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার আগেই সাগরের মৃত্যু হয়। অন্য দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রাত ১০টার কিছু পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। তবে তাঁদের পরিচয় জানাতে পারেনি রাজশাহীর রাজপাড়া থানার কর্তব্যরত এএসআই মো. লাবলু।

ঘটনার প্রেক্ষিতে ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান আজকের খবরকে বলেন, দুজনের মৃতদেহ তাঁদের হেফাজতে আছে। অন্যদের ব্যাপারে তাঁরা কিছু জানেন না। রাজপাড়া থানা তাঁদের ব্যাপারে বলতে পারবে এবং বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও সহযোগীরা পালিয়েছেন।