পিরোজপুরের নেছারাবাদে গ্রীন ওয়ার্ল্ড ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সমস্ত কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা না থেকেও কিছু স্বার্থান্বেষী কর্মকর্তা ও সদস্যদের হয়রানির শিকার হচ্ছেন শিক্ষক দম্পতি। নেছারাবাদ উপজেলা সমবায় অফিসের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরিত সমস্ত ডকুমেন্টস থাকা সত্ত্বেও একটি কুচক্রীমহল বিভিন্নভাবে তাদেরকে হয়রানি ও অর্থনৈতিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক দম্পতি।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে পিরোজপুর সমবায় অধিদপ্তরের আওতায় গ্রীন ওয়ার্ল্ড ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান আত্মপ্রকাশ হয়। যার নিবন্ধন নং- ১০৭ পিডি। প্রতিষ্ঠানটির সূচনা লগ্নে সদস্য পদ লাভ করেন শিক্ষক দম্পতি রথীন হাওলাদার ও তার স্ত্রী রমা বেপারী। গত ২৩.১২.২০২৩ তারিখে শারীরিক সমস্যা ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শিক্ষক দম্পতি সদস্য পদ বাতিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩০.১২.২০২৩ তারিখ উভয়ের স্থায়ীভাবে সদস্য পদ বাতিলের অনুমোদন দেয় সমবায় কর্মকর্তারা। যার যথাক্রমে স্মারক ও ডায়েরি নং- ৮০/৮১।

এছাড়াও প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটি বিলুপ্ত হবার পরে গত ২০২২ সনের ৬ ফেব্রুয়ারি নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয় সমিরন মিস্ত্রি, সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন সমাদ্দার, সম্পাদক অপু মজুমদার, কার্য নির্বাহী সদস্য নিপা রানী মন্ডল, নন্দিতা বড়াল ও সাগর বড়াল। পরবর্তীতে গত ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক দম্পতি তাদের অর্পিত দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। যা অফিসিয়াল ডকুমেন্টস সহ পরিপত্র ও রেজুলেশনে উল্লেখ আছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষক দম্পতি।

এ বিষয়ে ঐ শিক্ষক দম্পতি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গ্রীন ওয়ার্ল্ড ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন নয়। এটা সমবায় অধিদপ্তরের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কিছুদিন আমরা ওখানে সম্পৃক্ত হয়েছিলাম। আবার সমবায় আইন অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে সর্বশেষ কমিটিকে দায়িত্বভার হস্তান্তর সহ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। যার সমস্ত ডকুমেন্টস আমাদের কাছে আছে। কিন্তু কিছু স্বার্থন্বেষী মহলের ইন্ধনে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে এটা থেকে আমরা মুক্তি চাই।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. হাসান রকি বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই দম্পতি। প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের সমিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ ছিল। তাই গ্রাহকরা তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তারা ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নেই এমনকি সদস্য পদও বাতিল হয়েছে। তাদেরকে কোনভাবেই হয়রানি করা ঠিক না।