প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৫, ২০২৫, ১১:১৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২৫, ২০২৫, ৬:০৪ এ.এম
নেছারাবাদে বয়োবৃদ্ধের বাড়ীর রাস্তা কেটে খাল বানাল প্রতিপক্ষরা

পিরোজপুরের নেছারাবাদে কুনিয়ারী গ্রামে মোকলেসুর রহমান (৮০) নামে এক বয়োবৃদ্ধের বাড়ীর রাস্তা কেটে চলার পথে বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষ মো: সিদ্দিক হাওলাদার সহ তার ছেলেদের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই প্রতিপক্ষরা মোকলেছুর হাওলাদারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি চিরতরে বন্ধ করার জন্য রাস্তা কেটে খাল বানিয়েছেন। এতে ওই বৃদ্ধের পরিবার সহ তার বাড়ীর পিছনের আরো ৬টি পরিবার পড়েছেন মহা বিপাকে। তারা নিরুপায় হয়ে বিকল্প রাস্তা হিসেবে বাড়ীর পাশের অন্য একটি খাল ডিঙিয়ে বাজার ঘাটে যাচ্ছেন। তবে তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় গৃহবন্দি আছে ওই পরিবারের ছোট ছোট শিশুরা। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও কোন কিছুই মানছেনা প্রতিপক্ষরা।
ভুক্তভোগী মোকলেসুর রহমানের মেয়ে আসমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, রাস্তাটি দিয়ে তাদের পরিবার ত্রিশ বছর ধরে হাটা চলা করছে। বাড়ী থেকে বাজারঘাটে বের হতে সহজ ও নিরাপদ রাস্তা। হটাৎ করে সরকার পতনের পর আমাদের এই রাস্তা দিয়ে হাটতে দিচ্ছেনা প্রতিপক্ষ ছিদ্দিক হাওলাদার ও তার ছেলেরা। কয়েকদিন পূর্বে ছিদ্দিক মিয়া ও তার ছেলে আসলাম আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা রাস্তার মাঝপথে বেড়া দিয়ে সেখানে গাছ রোপন করে দিয়েছে। এমনকি রাস্তার সামনে কেটে খাল তৈরি করে দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী মোকলেসুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এলাকার চেয়ারম্যান ও গন্যমান্যরা মিলে এই রাস্তা দিয়ে আমাদের হাটতে দিয়েছে। ৪০ দিনের কর্মসূচি থেকে রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছিল। এখন সরকার পতনের পর হটাৎ করে আমাদের চলাচলের এই রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা ওই রাস্তা দিয়ে বাজারঘাটে বের হই। বাড়ী থেকে বের হতে বিকল্প কোন রাস্তা নেই। চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ থাকায় বাড়ীর পাশের একটি খাল পার হয়ে বাজারঘাটে বের হতে হচ্ছে। তাদের হাতে পায়ে ধরার পরেও তারা রাস্তাটি বন্ধ করে দিল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসলাম হোসেন বলেন, ক্রয় সূত্রে ওই জায়গার মালিক আমি। এখন আর হাটতে দিবনা। তারা যেভাবে পারবে সেভাবে বের হোক। পাশেই তাদের নিজস্ব জায়গা আছে প্রয়োজনে সেখান থেকে রাস্তা বের করে হাঁটতে পারবে।
এ বিষয়ে স্বরূপকাঠী সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি মো. মাজেদ মিয়া বলেন, রাস্তার ওই জায়গাটি ছিদ্দিক মিয়ার। তারপরও ওই রাস্তা দিয়ে মোকলেস মিয়া ত্রিশ বছর ধরে হাটছে। আমি উভয়কে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। এখন আসলাম হাওলাদার তাদের ব্যবহৃত জায়গা দিয়ে রাস্তা দিবেনা।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com