প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৬, ২০২৫, ৪:৪৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২৫, ২০২৫, ১১:৪১ এ.এম

যুক্তরাষ্ট্রের চালানো বিমান হামলায় দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস হয়নি। এই হামলা শুধুমাত্র দেশটির পারমাণবিক কার্যক্রম শুধুমাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে। এমনটাই বিশ্লেষণ পেন্টাগনের
এর আগে গত শনিবার অত্যাধুনিক বি-২ স্টিলথ বোমারু ব্যবহার করে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ হামলাকে সফল হামলা হিসেবে জানালেও তিন দিনের মাথায় পেন্টাগনের গবেষনায় নতুন তথ্য উঠে আসলো
যদিও হোয়াইট হাউস গোয়েন্দাদের এই মূল্যায়নকে "সম্পূর্ণ ভুল" বলে আখ্যা দিয়ে বলেছে, এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হেয় করার চেষ্টা করার জন্যই এটি বলা হচ্ছে।
পেন্টাগনের মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ ধ্বংস হয়নি।
এতে বলা হচ্ছে, ইরানের সেন্ট্রিফিউজগুলো প্রায় অক্ষত রয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি মূলত স্থলভাগের অবকাঠামোতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
এছাড়া ইরানের দুটি পারমাণবিক স্থাপনার প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেছে এবং কিছু অবকাঠামো ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, ভূগর্ভস্থ মূল স্থাপনাগুলো অনেকটাই অক্ষত রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোকে বলেছে, "যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে মাত্র, সর্বোচ্চ এইটুকুই"।
ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করার বিষয়টি নির্ভর করবে দেশটি খনন এবং মেরামত করতে কত সময় নেয় তার উপর।
গত শনিবার এই হামলা চালানোর আগেই মার্কিন ৩০ হাজার পাউন্ডের ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর বোমাই একমাত্র অস্ত্র বলে মনে করা হয়েছিল।
শনিবারের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন সাংবাদিকদের জানান, সবগুলো স্থাপনাতেই "চরম ক্ষয়ক্ষতি ও ধ্বংস" হয়েছে।
স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ফোর্দোর পারমাণবিক স্থাপনার দুটি প্রবেশপথের আশপাশে ছয়টি নতুন গর্ত এবং ধুলোমাখা ধ্বংসস্তূপ।
তবে স্যাটেলাইট ইমেজের সেই ছবিগুলো দেখে এটা বোঝা সম্ভব ছিল না যে ভূগর্ভস্থ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতখানি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে ইরানের দুটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এগুলোর প্রবেশপথ বন্ধ করে দিতে পেরেছে। কিন্তু স্থাপনার ভূগর্ভস্থ ভবনগুলো ধ্বংস করতে পারেনি।
একটি প্রাথমিক গোপন মার্কিন প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি অবগত আছেন—এমন কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা এ খবর জানিয়েছেন।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহান্তের হামলায় (ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যা) ইরানের পরমাণু কর্মসূচি মাত্র কয়েক মাসের জন্য পিছিয়েছে।
হামলার আগেই মার্কিন গোয়েন্দারা বলেছিলেন, ইরান দ্রুত পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা করলেও তাতে অন্তত তিন মাস লাগবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা ও ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর কয়েক দিনের হামলা শেষে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিআইএ) ধারণা, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি শুধু ছয় মাসের কম সময়ই পিছিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার আগেই ইরান তার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বড় অংশ সরিয়ে ফেলে। এতে হামলায় পারমাণবিক উপাদানের খুব সামান্যই ধ্বংস হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ইউরেনিয়ামের কিছু অংশ ইরানের গোপন পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।