তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে অনিয়মিতভাবে উপজাতীয় প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়োগ এবং শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, রাঙামাটি জেলা শাখা।
আজ রাঙামাটি শহরের স্থানীয় এক রেস্তোরাঁয় সাংবাদিক সম্মেলনে নাগরিক পরিষদের নেতারা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশ যাত্রা শুরু হলেও পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো আগের বৈষম্যমূলক নিয়োগনীতি বহাল রেখেছে। সরকার ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে সকল নিয়োগে মেধা ও সংরক্ষিত কোটা ব্যবস্থা নিশ্চিত করলেও তা মানা হচ্ছে না।
নেতারা উদাহরণ হিসেবে বলেন, সম্প্রতি রাঙামাটি জেলা পরিষদের অধীনে RHDC-ERRD-CHT, UNDP প্রকল্পে ৯০% উপজাতি এবং মাত্র ১০% বাঙালি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে, PROGRESS প্রকল্পে শতভাগ উপজাতি নিয়োগ সম্পন্ন করে বাঙালি ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর আবেদনকারীদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ৩০ জুন স্বাস্থ্য বিভাগের চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায়ও জনসংখ্যা অনুপাতে প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে জেলা পরিষদগুলোর এই বৈষম্যনীতির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে।
নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “উচ্চ আদালতের রায় মেনে ৭% কোটাসহ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দিলে পার্বত্যবাসী রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।” তিনি সরকার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সি.সহসভাপতি মাওলানা আবুবকর, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদা আক্তার, নাগরিক পরিষদের জেলা কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।