প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৯, ২০২৫, ২:৫০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২৮, ২০২৫, ১১:৩৫ এ.এম
নওগাঁয় এক রাতে গভীর নলকূপের ৩ টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি, আতঙ্কে এলাকার কৃষক দিশেহারা

নওগাঁর নিয়ামতপুরে একই রাতে গভীর নলকূপের তিনটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরচক্র
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার মানপুর এলাকায় এই চুরির ঘটনা ঘটায়। এতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী এক অপারেটর দেলোয়ার হোসেন নিয়ামতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও অভিযোগের তিন দিন পার হলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন কিংবা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করছেন কৃষকরা। এতে করে ওই এলাকার কৃষক এবং অন্য গভীর নলকূপ অপারেটরদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়ছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর বোরো মৌসুম শেষে এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটে। ফলে কৃষকরা নিজেরাই রাত্রিবেলা পাহারা দিয়ে ট্রান্সফরমার রক্ষা করার চেষ্টা করেন। মানপুর মৌজার ২৫২ নম্বর দাগে অবস্থিত তিনটি গভীর নলকূপে এমনই নজরদারির অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে কৃষকরা পাহারা দিয়ে বাড়ি ফেরেন। এরপর ভোরে এসে দেখেন—তিনটি ট্রান্সফরমারই চুরি হয়ে গেছে।
বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে পড়ে ছিল খোলস। প্রতিটি ট্রান্সফরমারই ছিল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) আওতাধীন গভীর নলকূপে স্থাপন করা।অপারেটর দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘এই তিনটি গভীর নলকূপের আওতায় প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ হয়। চাষ শেষ হলেও আমরা কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিরাতে পাহারা দিচ্ছিলাম। চুরির রাতে রাত তিনটার দিকে বাড়ি যাই। মনে হয়, চোরের দল ওঁত পেতে ছিল। আমরা বাড়ি ফিরতেই তারা তিনটি ট্রান্সফরমার খুলে নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, অমৃতপুর গ্রামের ইলেকট্রিশিয়ান নরজী দীর্ঘদিন ধরে এসব এলাকায় ট্রান্সফরমার উঠানো-নামানোর কাজ করে আসছেন। প্রায় এক মাস ধরে তাকে ট্রান্সফরমারগুলো খুলে নিতে অনুরোধ করা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি বারবার সময়ক্ষেপণ করেন। চুরির আগের দিনও তাকে তাগাদা দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেদিন জানান, পরদিন ট্রান্সফরমার খুলে দেবেন। কিন্তু তার আগেই রাতের আঁধারে ঘটে চুরির ঘটনা।
চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ নিয়ামতপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে কেউ অবগত করেনি।’
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com