নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র সোনাইমুড়ী বাজারে বিগত কয়েক মাস ধরেই শৃঙ্খলার ব্যাপক অভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন এই বাজার এলাকায় যানজট ও অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

বিশেষ করে সোনাইমুড়ী হাই স্কুল থেকে স্প্রিং কালভার্ট পর্যন্ত রেলগেট রোডের দুই পাশে অবৈধভাবে রিকশা, সিএনজি দাঁড়িয়ে থাকে ডাবল লাইনে। এতে প্রধান সড়কের চলাচল বিপর্যস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি ফুটপাত জবরদখল করে গড়ে উঠেছে নানা ফল, সবজি এবং ছোট খাটো দোকান। ফলে হাঁটার জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। অনেক সময় বাচ্চা-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে পথচারী সবাইকে রাস্তার মাঝখানে হেঁটে যেতে হয়, যা তাদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,

> “এই বাজারে একটি বিশাল সিন্ডিকেট আছে যারা অবৈধ দখল নিয়ন্ত্রণ করে। তারা নাকি মাসিক টাকা নিয়ে দোকানগুলো বসায়। যেকোনো অভিযোগ করলে হুমকিও দেয়। ফলে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।”

স্থানীয় সাধারণ মানুষ বলছেন,

> “আমরা অনেকবার উপজেলা প্রশাসনকে এই সমস্যার কথা জানিয়েছি। প্রশাসন কয়েকবার অভিযান চালিয়েও সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই আবার সব আগের মতো অবস্থা হয়ে যায়। এক কথায় বলতে গেলে সমস্যার সমাধান হচ্ছেনা, তাই জনদুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে।”

স্থানীয়রা দাবি করছেন,

> বাজার এলাকায় দ্রুত সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও নজরদারি বাড়াতে হবে,

অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে,

রিকশা ও সিএনজিদের জন্য নির্দিষ্ট পার্কিং বা স্ট্যান্ড তৈরি করতে হবে,

বাজারের রাস্তাগুলোতে যানজট নিরসনের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সচেতন মহলও বলছেন,

> “শুধুমাত্র একদিনের অভিযান বা অভিযান ভঙ্গুর হয়ে গেলে লাভ হবে না। বাজারের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দীর্ঘমেয়াদি মনিটরিং ও পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ অপরিহার্য। পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতা ও সহযোগিতাও জরুরি।”বর্তমান বাজার অবস্থা বিবেচনায় নিতে না পারলে, সোনাইমুড়ী বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতের স্বস্তি বেহালার দিকে ধাবিত হবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জনগণের আহ্বান জানানো হয়েছে।