কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘ট্রান্সন্যাশনালিটি, মাল্টিকালচারালিজম ও জেন্ডার ইন কন্টেম্পরারি ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড লিটারেচার’ শীর্ষক একটি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুন) সকাল ৯টায় কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে (৫০১ নম্বর কক্ষ) সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। আয়োজক ছিল কুবির কলা ও মানবিক অনুষদ।

সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা ৬৩ জন গবেষক তাঁদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। এসব প্রবন্ধে সমসাময়িক বিশ্ব সাহিত্যে আন্তঃসীমান্ত চিন্তাধারা, বিভিন্ন সংস্কৃতির সহাবস্থান এবং লিঙ্গভিত্তিক পাঠ ও বাস্তবতা তুলে ধরা হয়।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলাইমান।

মুখ্য প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন। সভাপতিত্ব করেন কুবির কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস।

এছাড়া সম্মেলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, প্রাবন্ধিক, কুবির বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শিক্ষাক্ষেত্রে একটি বড় পারাডাইম শিফট এনেছে। শিক্ষার্থীরা যেকোনো ভাষার কনটেন্ট সহজেই পাচ্ছে, ফলে মেধার প্রকৃত যাচাই কঠিন হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের দায়িত্ব অনেক বেড়েছে। সমাজ ও পাঠ্যবইকে সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।”

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, “ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। আমাদের নৈতিক দায়বোধ থেকেই সমাজের শূন্যতা পূরণে এগিয়ে আসতে হবে।”

সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, “২১ শতক চ্যালেঞ্জের সময়। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। এই প্রেক্ষাপটে জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় নিয়ে গভীর ভাবনা ও বিশ্লেষণ করার সময় এসেছে এই প্রয়োজন থেকেই থিমটি নির্ধারণ করা হয়েছে।”