গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রায়হান মিয়া (২০) নামের যুবক এক স্কুলছাত্রীর গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করেছে। এই ভিডিও ডিলেট করে দেওয়ার আশ্বাস ও ভয়ভীতি দেখিয়ে রায়হান মিয়া ও তার বন্ধু শাকিল আহমেদ মিম (২৫) ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রোববার এই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার।
ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর বাড়ি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামে। দামোদরপুর ইউনিয়নের মধ্যভাঙ্গা মোড় (জুগীপাড়া) গ্রামের নানাবাড়ি থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অস্টম শ্রেণিতে অধ্যায়ন করছে ওই ছাত্রী। ধর্ষক রায়হান মিয়া মধ্যভাঙ্গা মোড় (জুগীপাড়া) গ্রামের মিলন প্রামানিকের ছেলে ও শাকিল আহমেদ মিম কান্তনগরের সাজু মিয়ার ছেলে।
মামলার এজার সুত্রে জানা যায়, গেল রমজান মাসে কোন একদিন ছাত্রীটি তার নানাবাড়িতে টিউবওয়েলে গোসল করার সময় রায়হান রহমান তার মোবাইল ফোনে গোপনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও মেয়েটিকে দেখায়। এসময় এই ভিডিও মোবাইল ফোন থেকে ডিলিট করার জন্য অনুরোধ করে মেয়েটি। একপর্যায়ে ডিলিট করার আশ্বাস দিয়ে গত ১৫ এপ্রিল রাতে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রায়হান রহমান। একাই আশ্বাসে ১৯ এপ্রিল আবারও ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে জানালে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায় এই ধর্ষক। এরপর ওই অশ্লীল ভিডিও রায়হান রহমান তার বন্ধু শাকিল আহমেদ মিমকে সরবরাহ করে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ২৪ জুন বিকেলের দিকে শাকিল আহমেদ এই ভিডিও ডিলেট করার আশ্বাসে ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এরপর মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে কান্না করলে স্বজনরা কান্নার কারন জানতে চাইলে রায়হান ও শাকিলের সকল ঘটনা প্রকাশ করে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, দুই যুবক মিলে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২৭ জুন এই মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com