প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ১, ২০২৫, ১২:৩৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৩০, ২০২৫, ৬:৩৭ এ.এম
উপজেলার ভোটপাড়া গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা- ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

সামান্য বৃষ্টিতেই কিছু কিছু জায়গায় হাঁটুপানি। কাঁদায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায় নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নহলা কালু পাড়া (মাজেদের মোড়) — পারশিমলা যাওয়ার পথে ভোটপাড়া গ্রামের ভিতরের কাঁচা মাটির প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা। পাশ্ববর্তী কাজীপাড়া ,ফতেপুর,যশোপাড়া ও দূর্গাপুর গ্রামের মানুষদের চলাচলের রাস্তাও এটি। সারা দেশে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলেও এই গ্রামে এখনো সেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে গ্রামটির সার্বিক উন্নয়ন থমকে আছে। একটুখানি বৃষ্টি বা বর্ষা নামলেই যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয় সেই সাথে রাস্তা চাষাবাদের জমিতে পরিনত হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মাজেদর মোড় হয়ে ভোটপাড়া যাবার পথের ওই রাস্তা দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে কোনোমতে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে রাস্তার খানাখন্দ ও গর্ত ভরে যায় বৃষ্টির পানিতে। তখন দেখে বোঝার উপায় থাকে না যে এটি রাস্তা নাকি ফসলের জমি। রাস্তার বেহাল দশার কারণে ভ্যান কিংবা অটোগাড়ি যেতে চায় না। নিরুপায় হয়ে কাঁদা মাটি দিয়ে পায়ে হেঁটে কয়েক হাজার মানুষকে খুব কষ্ট করে চলাচল করতে হয়। বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি কাঁদামাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাঁদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার এত বছর পরও পাকা করা হয়নি রাস্তাটি,আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে হরহামেশেই ডুবে যায় রাস্তাটি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল—কলেজের শতশত শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগী, কৃষক ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু এ রাস্তায় যেন তাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জন প্রতিনিধিরা ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত সেটা আর বাস্তবে দেখা যায়না।
এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের জন্মের আগের এই কাঁচা রাস্তাটি তখন যেমন ছিল এখন আরো বেশি খারাপ হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে কিছু কিছু জায়গায় হাঁটু পর্যন্ত কাঁদা হয়ে যায়। এছাড়াও পাশের মাঠের সব ফসল এই রাস্তা দিয়েই বাড়ি নিতে হয়। এই রাস্তা দিয়ে আমাদের আশপাশের বিভিন্ন এলাকার কৃষিপণ্য বাজারজাত করা হয়। রাস্তা বেহাল দশার কারণে আমরা কৃষি পণ্যের উপযুক্ত মূল্য পাইনা। আমাদের এ কষ্ট কবে দূর হবে তার কোনো ঠিক নেই বলে আক্ষেপ করেন তিনি। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদুল হক বাবু বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। জরুরি সেবার কোনো যানবাহন বা যেকোনো গাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না। কেউ মারা গেলে বর্ষার সময় অনেক কষ্ট করে কবরস্থানে নিতে হয় এই কাদাযুক্ত রাস্তা দিয়ে। পুরোনো এই রাস্তাটি পাকাকরণ এখন সময়ের দাবি। ওই এলাকার বাসিন্দা মো. জাহিদুল ইসলাম একই কথা জানান। এ বিষয়ে মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জনাব গোলাম আজম বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে বেশ কিছু রাস্তার সংষ্কার কাজ করা হয়েছে এবং কাঁচা রাস্তা হেরিং বোন বন্ড ( HBB) প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে।এলাকাবাসীর দাবি,গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত পাকাকরণ করে জনদূর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করে।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com