প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ১, ২০২৫, ৩:২৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৩০, ২০২৫, ১২:০১ পি.এম
নিয়ামতপুরে তিন কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা, একটু বৃষ্টি হলেই জনদুর্ভোগে পরিণত হয়

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রাম হতে মহারাজপু-কুতুবপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার কাঁচা মাটির রাস্তা জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদাপানির সৃষ্টি হয়। এতে যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়ে। এতে বিপাকে পড়েন ওই এলাকার কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহারাজপুর-কুতুবপুর গ্রাম থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প কোনো সড়কের ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটু সমান কাদা মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী, বয়োবৃদ্ধসহ অন্য সবাইকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, ভ্যান চলাচল করতে পারে না। মোটরসাইকেল, সাইকেলে তো দূরে থাক, খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বৃষ্টির দিনে গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সও এখানে ঢুকতে চায় না। অনেক সময় কেউ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে কাঁধে করে কর্দমাক্ত রাস্তা পার করতে হয়।
স্কুল ছাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, আমাদের স্কলে যেতে সমস্যা হয় এবং রাস্তা কাঁদার করেন বাড়ি থেকে আগে বের হতে হয়। তাছাড়া আমারা মেয়ে হওয়ার কাঁদার মধ্যে জামা-কাপড় ভিজে এবং কাঁদা ভরে থাকে। আমি এই রাস্তার দ্রুত সংস্কার দাবী করছি
স্থানীয় বাসিন্দা সবুজ কর্মকার বলেন, আমাদের দুঃখ-কষ্ট, দুর্ভোগের কথা কেউ শুনে না। এ এলাকার মানুষের ভোগান্তির কথা বলে বোঝানো যাবে না। নিজ চোখে দেখতে হবে। আমরা ঠিকমতো হাট-বাজারে যেতে পারি না। কৃষিপণ্য সময়মতো বিক্রি করতে পারি না। আমাদের ভাই-বোনেরা কষ্ট করে স্কুল-কলেজে যায়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জুতা-স্যান্ডেল হাতে নিয়ে রাস্তার কাদামাটি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। আর কত কাল এ কষ্ট করতে হবে কে জানে।
একই এলাকার মিজানুর রহমান ও ফিরোজা বলেন, এলাকায় প্রচুর কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে কৃষকেরা সময়মতো কৃষি ফসল বাজারজাত করতে পারে না। ফলে কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাদের। সামান্য বৃষ্টি হতে না হতেই রাস্তার পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কি করে চলাচল করব আমরা তা কিছুই বুঝে উঠতে পারি না।
উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাসুদেবপুর অমৃতপুর ২কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পে ধরা আছে। রাস্তাটি অনুমোদন হয়ে আছে খুব দ্রুতই দরপত্র আহ্বান করা হবে।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com