দূষণ ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ। শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানার দুষিত বর্জ্যের কারণে পরিবেশ ও নদীর পানি দূষণ হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সক্রিয় ভূমিকা রাখার কথা। অথচ এ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। উৎকোচ নিয়ে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড জেনেও নিশ্চুপ থাকছেন।
নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু সংখ্যক অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। উৎকোচ নিয়ে তারা পরিবেশ আইন ও বিধিবহির্ভূত কাজ করছেন। পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিলেও তা কেবল কাগজে-কলমে থাকছে। নরসিংদীতে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের মধ্যে দূষণরোধে পরিবেশ আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ও শাস্তির বিধান নিশ্চিত করার পরিবর্তে মাসোহারা আদায়ের বিষয় স্পষ্ট।
অনুসন্ধানে জানাযায়, শিল্পাঞ্চল নরসিংদীতে বিভিন্ন কলকারখানা ও ডাইং ফ্যাক্টরীর দূষিত বর্জ্য এবং ক্যামিকেলে হাঁড়িধোয়া,আড়িয়াল খাঁ ও পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদের পানি নষ্ট হয়ে কালো আলকাতরার মতো হয়ে গেছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ইটিপির মাধ্যমে তরল বর্জ্য পানিগুলো শোধন করে ছাড়ার আইন থাকলেও সেটা মানছেন না। পরিবেশ অধিদপ্তর আইন প্রয়োগ বাস্তবায়ন না করে মাসোহারা আদায়ের মাধ্যমে নিশ্চুপ ভুমিকা পালন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডাইং মালিক ও কর্মচারী জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মনোনীত একজন প্রতিনিধি (দালাল) এর মাধ্যমে বেশ কিছু ডাইংয়ের ইটিপি পরিচালিত হয়। মাসিক চুক্তির মাধ্যমে সেই দালাল, নির্ধারণ করে দেন কোন ফ্যাক্টরীর ইটিপি কখন,কতক্ষণ চালু থাকবে। যদি কখনো ঢাকা বা বিভাগীয় পর্যায়ের তদন্ত দল আসে, তাহলে দালালের মাধ্যমে আগে ভাগে জানিয়ে দেওয়া হয় মালিক পক্ষকে। যদি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আচমকা পরিদর্শনে কোন ব্যক্তি- প্রতিষ্ঠান পরিবেশ দূষণে চিহ্নিত হয়,তাহলে জড়িত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিলেও তা কেবল কাগজে-কলমে থাকছে।
এ বিষয়ে নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কামরুজ্জামান সরকার মনোনীত ব্যক্তি বা দালালের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের এখানে কাউকে মনোনীত করার কোন সুযোগ নেই। এটা যদি কেউ বলে থাকেন,সেটা মিথ্যা কথা।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা দালালের মাধ্যমে পরিচালিত সুখী,সুপার ফাইন,বাংলাদেশ ডিজিটাল, কনফিডেন্স ও ডিএন টেক্সটাইল ডাইংসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে, সর্বশেষ কতদিন আগে পরিদর্শন করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মনে পড়ছেনা, আমি সর্বশেষ কতদিন আগে ঐ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেছি।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com