প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ৮, ২০২৫, ২:০৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৭, ২০২৫, ৮:২৪ পি.এম
পটুয়াখালীর বাস-টার্মিনালে ভোগান্তি চরমে৷

একটু বৃষ্টি হলেই যেন কাদাপানিতে একাকার পটুয়াখালী পৌরসভার এক সময়ের আধুনিক বাস টার্মিনাল ৷ সম্প্রতি মূল সড়ক থেকে কিছুটা নিচু থাকায় পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে টার্মিনালের ভেতরে ও আশপাশে পানি জমে থাকে দীর্ঘমেয়াদী ভরে গেছে খানা খন্দে ফলে যাত্রী ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে ।
এদিকে বাস টার্মিনাল থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ রুটসহ সারা দেশের যাত্রীবাহী বাসগুলোয় হাজার হাজার যাত্রীর যাতায়াত রয়েছে । কিন্তু বৃষ্টি হলেই দক্ষিণাঞ্চলের এই গুরুত্বপূর্ণ বাস টার্মিনালের ভেতরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বাস কাউন্টারের সামনের অংশ ও কাদাপানিতে একাকার এতে এই বাসস্ট্যান্ড দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে যাত্রীদের পোহাতে হয় ভোগান্তি ।পানি জমে থাকায় বাসমালিক, চালক, পরিবহনশ্রমিকেরাও প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
গতকয়েকদিন রাত ও দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টির মধ্যে পটুয়াখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কের পাশে থাকা এই বাস টার্মিনালের ভেতরে পানি জমে আছে ৷ অভ্যন্তরীণ রুটের বাসগুলো মহাসড়কের পাশে যাত্রীদের জন্য দাঁড় করিয়ে রাখা হয় । যাত্রীদের কষ্ট করে পানির মধ্য দিয়ে বাসে ওঠানামা করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায় ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা নাজমুল আহসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, নৌ রুটে লঞ্চে সকালে পটুয়াখালী পৌঁছে কুয়াকাটা যাওয়ার উদ্দেশ্যে পটুয়াখালী বাস টার্মিনাল আসেন। কিন্তু এখানে এসে দেখা যায় বাস টার্মিনালে কাদাপানিতে একাকার লম্প ঝম্প লাফ দিয়ে উঠতে হয় কুয়াঘাটা পরিবহনে ।
গলাচিপার বাসিন্দা শিশির রঞ্জন বলেন, বছরের পর বছর ধরে বর্ষায় বাস টার্মিনালে এই বেহাল দশা যেন গ্রাম গঞ্জের ছোটখাটো পুকুর ও ডোবা নালা একই অবস্থা বিরাজ করছে বছর পর বছর । কিন্তু যাত্রীদের ভোগান্তি কমছে না। বৃষ্টির পানি জমে থাকায় বাসে উঠতে হয় পা ভিজিয়ে ও কাদামাটি মেখে। এভাবে যাতায়াত করা আমাদের কষ্টকর হলেও অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ৷
অন্যদিকে টার্মিনালের শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।
কলাপাড়ার যাত্রী রাশিদ উদ্দিন বিডিআর বলেন, টার্মিনাল ভবনের শৌচাগার ব্যবহারের একেবারেই অনুপযোগী আমার মনে হয় না কোন সুস্থ মানুষএই দুর্গন্ধে শৌচাগার ব্যবহার করতে পারে । এ রকম এক অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে এই বাস টর্মিনাল দিয়ে সারা দেশের প্রতিনিয়ত শত শত বাস চলাচল করছে।
পটুয়াখালী–নারায়ণঞ্জ রুটে চলাচলকারী নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলস পরিবহনের বাসচালক মোঃ সোহাগ
বলেন, বাস টার্মিনালে পানি জমে থাকায় শুধু যাত্রীরাই ভোগান্তি নন, বাসচালক ও পরিবহনশ্রমিকেরা ও দুর্ভোগে রয়েছে ।
পটুয়াখালী শহরের প্রবেশমুখ থেকে দুইশত ফুট দক্ষিণে মহাসড়কের পাশে পটুয়াখালী বাস টার্মিনাল। জানা যায় ২০০৩ সালে অনুমান ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই টার্মিনাল নির্মাণ করে তিন একর জমির ওপর ৷ পরবর্তীতে এটি পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ৷
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায় সারা দেশের মানুষ পটুয়াখালী শহরের সৌন্দর্য দেখে প্রশংসা করলেও বাস টার্মিনাল দেখে বিস্মিত হয়। তবে আমরা শুনেছি, এখানে নতুন করে আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। আশা করি কাজটি দ্রুত করতে যেন সক্ষম হয়। তা না হলে আমরা ও সকল জেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে না।
বাস টার্মিনালের দুরবস্থার বিষয়ে পটুয়াখালী পৌর প্রশাসক জুয়েল রানা বলেন,পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা,পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও পায়রা বন্দরে ব্যাপক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে পটুয়াখালী দিয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তাই পটুয়াখালী বাস টার্মিনাল নতুন করে নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। নতুন টার্মিনালে আধুনিক সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন ৷
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com