ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদ আহমেদ এর হঠাৎ অন্যত্র বদলীর খবর শুনে বিভিন্ন ধরনের পাওনাদাররা থানায় গিয়ে ভিড় জমায়। কিন্তু ওসিকে থানায় না পেয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে। অন্যদিকে ওসি থানা ত্যাগের রাতেই মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ৫টি মামলা রেকর্ডভুক্ত করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, ওসি মো. ফরিদ আহমেদ গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে নান্দাইল মডেল থানায় যোগ করেন। এর পর থেকে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে তিনি কার্যক্রম চালিয়েছেন। নান্দাইলে চুরি ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতির মতো নানা ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড বেড়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যে তিনি অফিসার ইনচার্জ হিসাবে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ কর্র্তৃক তিনটি শ্রেষ্ঠ পুরস্কারও লাভ করেছেন। তবে নান্দাইলের বিভেদপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওসি বদলীর খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সবকিছু গুছিয়ে শুক্রবার ভোরে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন তিনি। এদিকে দুপুুরে বেশ কয়েকজন পাওনাদার থানায় এসে ওসিকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। পাওনাদারদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকানদার, ব্যবসায়ী ও এমনকি অনেক অভিযোগকারী। পৌর বাজারের ইসহাক মার্কেটের মো. মোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী জানান, বিভিন্ন ধরনের পোশাক ক্রয়বাবদ তিনি ওসির নিকট প্রায় লাখ টাকার উপরে বকেয়া পান। ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী ফরহাদ জানান, তার দোকান থেকেও প্রায় ১১ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া নামপ্রকাশ না করার শর্তে ৫ জন জানান, শেষ মহুর্তে ৫টি মামলা রেকর্ডভূক্ত করার নামে তাদের কাছ থেকে ৭৮ হাজার টাকা নিয়েছেন। এ বিষয়ে ওসি ফরিদ আহম্মেদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি বলে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার এ ঘটনার দু:খ প্রকাশ করে বলেন, এ বিষয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com