আমরা ধর্ষণমুক্ত দেশ চাই। দিনে দিনে দেশে ধর্ষনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন দৈনিক প্রএিকা, অলনাইন প্রএিকা,টিভি , ফেইসবুক খুললেই ধর্ষণের খবর দেখতে পাওয়া যায়। যারা ধর্ষিত হচ্ছে তাদের কোন বয়স নেই। চার বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা , কেউ ধর্ষন থেকে রেহাই পাচ্ছে না। মসজিদের বারান্দা, মন্দির, স্কুল, কলেজ, বাসে, রাস্তায়, হোটেলে, ধানক্ষেত, জঙ্গলে, বাসা বাড়ি কোথায় ধর্ষন হয় না। সেই সাথে দলবেধে গনধর্ষন ও করছে নরপশুর দল।
আধুনিক যুগের ফ্যাশন করার মূল ভিওি কিছু সংখ্যক তরুণ তরুণীর নগ্নতা। আমরা সভ্য সমাজে বসবাস করেও অসভ্যতার মত সব দিক থেকেই নগ্নতার দিকে ধাবিত হচ্ছে তরুন প্রজন্ম।
তরনীদের বেপর্দা, উগ্র, অশালীন পোশাক, নগ্নতা, অতৃপ্ত যৌন আকাঙ্ক্ষা, নারী পুরুষের অবাধ যৌনচার, দেয়ালে দেয়ালে নগ্ন পোস্টার, যৌন উওেজক অবৈধ বইয়ের রমরমা ব্যবসা, অশ্লীল পএ পএিকা, অশ্লীশ ছায়াছবি প্রদর্শন, ব্লু- ফ্লিম, পর্নোগ্রাফি, নারী পুরুষের অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক, নারীকে পন্য হিসেবে ব্যবহার করা, ইন্টারনেটে অশ্লীল সাইটগুলো উন্মুক্ত করে দেয়া, প্রেমে ব্যার্থতা, মাদক সেবন সহ বিভিন্ন কারনে আমাদের যুব সমাজের মধ্যে দিন দিন ধর্ষণের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাঙ্গালী রক্তের বিনিময়ে পেয়েছে একটি পতাকা, একটি স্বাধীন দেশ। নিজের দেশে বসবাস করেও আজ আমাদের স্বাধীনতা নেই। নিজের ঘরে বাস করেও নিরাপদে নেই। বাচ্ছাদের স্কুলে পাঠিয়ে আমরা আতন্কে থাকি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক , ডাক্তার, প্রকৌশলী, ব্যাংকার সহ সকল পেশার মানুষের মধ্যে কেউ না কেউ ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত । অনেক মানুষ চিন্তায় থাকে রাস্তার কোন নরপশুর হাতে শিশু মেয়ে ধষিত হয়ে বাড়ি আসবে। মেয়ে যদি বাসার বাইরে খেলা করে তবুও ভয়ে থাকে । নানার বয়সের কোন নরপশুর কাছে যদি মেয়ে ধর্ষিতা হয়। সত্যি বলতে কি ? কাউকে এখন আর বিশ্বাস করতে পারি না। সে আপন কিংবা পর হোক।
সন্দেহ সব সময় মনে তাড়া করে ফিরে। বউ মেয়ে বাসায় রেখে অফিসে গেলেও ভয়ে থাকি। যদি অফিস থেকে ফিরে এসে যদি শুনি মা মেয়ে দুজনেই নরপশুদের হাতে ধষিতা হয়েছে।
দিনে দিনে দেশে ধর্ষনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রভাবশালীর ছেলে যদি ধর্ষন করে তবে থানায় মামলা নেয় না। এমন অভিযোগ ও প্রকাশিত হয়। ধর্ষিতা দ্বারে দ্বারে ঘুরাঘরি করেও কোন বিচার পায় না। ধর্ষক যদি সরকার দলের লোক হয় তাহলে তো তার নাম মুখে আনা যায় না।
দেশে হিরোইন, ফেনসিডিল, প্যাথেটিন সহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য ও যৌন উত্তেজক বিভিন্ন জিনিস বন্ধ করতে পারে নি। এ সব জিনিস বন্ধ করলে ধর্ষন কমে যাবে। সেই সাথে ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। পরির্বতন করতে হবে আমাদের মন মানসিকতার। গড়ে তুলতে হবে ধর্ষনের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন। তবেই আমারা পাব ধর্ষন মুক্ত বাংলাদেশ।ধর্ষনকারী পরিবারের শএু, সমাজের শএু, দেশের শএু,। ধর্ষনকারীর কোন ক্ষমা নেই, ধর্ষণকারীর সাথে কোন আপোষ নেই। ধর্ষণ করীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্হা করতে হবে। ধর্ষণকারীরা আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক ভাবে ধর্ষণকারীদের প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এখনই সময়। ধর্ষণ প্রতিরোধ করতে না পারলে ভয়াবহ আকার ধারন করবে।
মা বাবা অনেক স্বপ্ন নিয়ে মেয়েকে শিক্ষাপ্রতিষ্টানে পাঠায় শিক্ষা গ্রহনের জন্য। তার মেয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে শিক্ষক, ডাক্তার , প্রকৌশলী,সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়ে পরিবার, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। কিন্ত মেয়ে ধর্ষিতা হয়ে কিংবা ধর্ষনের পর লাশ হয়ে ফিরে আসে মায়ের বুকে। মা বাবার তার মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন , শুধু স্বপ্ন হয়েই থেকে যায়। মেয়েকে নিয়ে সমাজে চলে আলোচনা সমালোচনা। অনেক বাবা -মা মেয়ের সমালোচনাকে সইতে না পেরে আত্নহত্যার পথ বেচে নেয়। বেশির ভাগ ধর্ষনকারী থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যে ধর্ষনের খবর পএিকায় প্রকাশিত হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি ধর্ষিত হচ্ছে। কেউ কেউ ধর্ষিত হয়ে ও ধর্ষনে কথা প্রকাশ করছে না লোকলজ্জার কারনে কিংবা সঠিক বিচার পাবে না মনে করে।
দেশে ধর্ষনের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধর্ষনের বিরুদ্ধে সামজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ধর্ষনকারী একটি নরপশু যেন বিচারের বাইরে না থাকে।
আমি আজ নগ্নতাকে নগ্নতা বলতে পারি না। কোথায় যেন নিরাপত্বাহীনতা মনের মধ্যে কাজ করে। ধর্ষণ সামাজিক ও ধর্মীয় দিক থেকে ও একটি নিকৃষ্টতম কাজ।
আজ দেশে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, জনতা ধর্ষনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। দেশের কোন সুনাগরিক, জঙ্গিবাদ ও ধর্ষণকে সমর্থন করে না। তাইতো ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদে মিছিল, সমাবেশ করছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
আমরা দেশে আর কোন ধর্ষনের খবর দেখতে চাই না। প্রতিদিন সকালে সংবাদপএ গুলো নিয়ে আসুক সু সংবাদ। ধর্ষিতা পরিবারে মানুষের চোখের জল দেখতে চাই। ধর্ষণকারীকে বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক। আমরা কোন মানুষের চোখের পানি দেখতে চাই না। আমরা আমরা ধর্ষনমুক্ত বাংলাদেশ চাই।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com