
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা ময়লার ভাগাড় দ্রুত অপসারণের দাবি জানালেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এআইপি অধ্যাপক মতিন সৈকত। দেশের প্রধান সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা বিশাল ময়লার ভাগাড় কেবল দাউদকান্দির স্থানীয় বাসিন্দাদের নয়, প্রতিদিন এই মহাসড়কে যাতায়াতকারী লক্ষ লক্ষ যাত্রী ও চালকদের জন্যও ভয়াবহ দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই ময়লা গাদায় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ও পরিবেশ দূষণ তৈরি হয়েছে, যা জনস্বাস্থ্য এবং যান চলাচলের জন্য মারাত্মক হুমকি। এই অবস্থায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এআইপি অধ্যাপক মতিন সৈকত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ যেন অবিলম্বে মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা এই অবৈধ ময়লার ভাগাড় দ্রুত অপসারণ করে এবং ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়।”
এআইপি অধ্যাপক মতিন সৈকত বলেন,
“পরিবেশ আমাদের অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পরিবেশ সুরক্ষা না করলে আমাদের জীবন, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি সবই বিপন্ন হবে। এই মহাসড়কের পাশের অবৈধ ময়লার ভাগাড় শুধু পরিবেশ দূষণই ঘটায় না, বরং এটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি করে, দুর্গন্ধ ও দূষিত বাতাস জনজীবন অতিষ্ঠ করে তোলে। গত কয়েক বছর ধরে আমি বিভিন্ন মাধ্যমে এই সমস্যার গুরুত্ব তুলে ধরেছি, কিন্তু তাতে যথাযথ মনোযোগ দেয়া হয়নি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র-ছাত্রী, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ছাড়া পরিবেশের এই ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হবে না। এজন্য সরকারি পর্যায়ে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।”
তিনি আরও বলেন,
“আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ নষ্ট হলে জলবায়ু পরিবর্তন, শ্বাসকষ্টসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতিও বহুগুণে বাড়ে। তাই শুধু অভিযোগ নয়, সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই ময়লার ভাগাড় দূর করতে হবে এবং দাউদকান্দির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে একটি পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ পরিবেশে পরিণত করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা ও যাত্রীরা জানান, ময়লার ভাগাড় থেকে আসা দুর্গন্ধে যাতায়াত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দীর্ঘকাল প্রশাসনের অগ্রগতি না থাকায় পরিবেশের এই অবনতি ঘটেছে। তবে সম্প্রতি এআইপি অধ্যাপক মতিন সৈকতের নেতৃত্বে গঠিত সামাজিক সংগঠনগুলো সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান করার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে কাজ হবে বলে আশাবাদী।সরকারি দফতরগুলো থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ময়লার অপসারণ ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ও সামাজিক নজরদারির অভাব এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এআইপি অধ্যাপক মতিন সৈকতের আহ্বানে, প্রশাসন, স্থানীয় জনগণ ও তরুণ সমাজের একসাথে এগিয়ে আসাই এই পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা কমানোর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিবেশকে পুনরায় স্বাস্থ্যকর করার একমাত্র পথ।