
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়ন এর বালুতুপা চৌমুহনী থেকে পূর্ব দিকে বড় পুকুর পাড় আনন্দপুর হয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলার বৃহত্তর গলিয়ারা ইউনিয়ন এর লক্ষীপুর চৌমুহনী বাজার থেকে কনেশতলা বাজার হয়ে কালির বাজার থেকে সুয়াগাজি পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটি ১৪-১৫ বছর ধরে বেহাল অবস্থা এবং মানুষের যাতায়াতের অনুপযোগী চরম ঝুঁকিপূর্ণ। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় গর্ভবতী মা বোনদের এবং অসুস্থ মৃত্যু পথযাত্রী রোগীদের। এই সড়কটি দিয়ে কুমিল্লার পূর্বাঞ্চলের লাখ লাখ লোকের যাতায়াত থাকলেও রাস্তাটি মেরামতের নেই কোন উদ্যোগ।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিগত দিন গুলোতে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুখে নীতি বাক্য আর রাস্তাটি সংস্কারের আশার বুলি শোনালেও সবাই নিজেদের ফিগির নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাস্তাটির ট্রেন্ডার এর গুঞ্জন শুনা গেলেও সংস্কারের আশার আলো এখনো অদৃশ্য রয়ে গেলো এই রাস্তাটির। কণেশতলা বাজার কমিটির সভাপতি আনোয়ার চৌধুরী বলেন – সড়কটি নিয়ে কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগে গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে পরিপত্র জমা দিলেও এখন পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার কাজে বাস্তবে আশার আলো দেখেনি।
স্থানীয় ভাবে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী লোকজনের বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায় রাস্তাটি খুব কম সময়ে নষ্টের মুল কারণ হিসেবে তারা সড়কের পাশে থাকা ইটভাটা গুলোকে দায়ী করছেন। নিষিদ্ধ ট্রাক্টর ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে একটু বৃষ্টি হলেই মাটি পড়ে রাস্তায় স্যাঁতে স্যাঁতে হওয়ার কারণে মানুষের যাতায়াতে দূর্ঘটনা প্রায় ঘটে বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। রাস্তাটিতে চলাচলে দ্রুত মেরামত ও সংস্কার করা এলাকাবাসীর দাবী।