কুমিল্লার চান্দিনায় মাত্র দেড় কিলোমিটার সড়ক এর বিভগ্ন দশার কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ৫ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। উপজেলার এতবারপুর থেকে মাইজখার পর্যন্ত ওই আঞ্চলিক সড়কটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। শীতকালে ধূলা-বালি আর বর্ষায় কাদা পথচারীদের প্রতিনিয়ত বিপদে ফেলছে। স্কুলগামী কোমলমতি শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। সড়কের এই অংশটি মেরামত করে পিচঢালাই করা হলে গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে। পূর্ব মাইজখার মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে আলীকামোড়া পর্যন্ত ১ কিলোমিটার ও চিলোড়া “বাশার হুজুরের” বাড়ির পূর্ব পাশ থেকে চিলোড়া বাজার পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থা। কয়েকবছর আগে ইটের সলিং করা হলেও দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ইট নষ্ট হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সড়কটিতে। সড়কে কয়েক জায়গায় পুকুর ও মৎস্য প্রকল্পের কারণে পাড় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সড়কটি, ফলে অনেক স্থান ভেঙ্গে গিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে চলাফেরা করেন মাইজখার, পূর্ব অম্বরপুর, চিলোড়া, আলীকামোড়া, এওয়াজবন্দ সহ আশেপাশের গ্রাম গুলোর প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে এই মানুষগুলো আরও দুর্ভোগে পড়বে। সরেজমিনে দেখা যায়, আলীকামোড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশের গাছ পরে যাওয়ায় সড়কে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চিলোড়া বাশার হুজুরের বাড়ির পূর্ব পাশে পুকুরের কারণে সড়ক ভেঙ্গে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ঝুকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও যাত্রীরা যাতায়াত করছে। এবিষয়ে আলীকামোড়া বাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, মাঝেমধ্যে ব্যবসায়ীক মালামাল আনা নেওয়ার সময় বিপাকে পরতে হয়। সড়কে বেশিরভাগ পাকা হলেও এই সামান্য জায়গা টুকুর জন্য চলাচল করতে অসুবিধা হয়। কর্তৃপক্ষের নিকট এই সড়কটি মেরামতের অনুরোধ জানান তিনি। ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বলেন, গত কয়েক মাস আগে দোকানের মালামাল আনার সময় চিলোড়ায় গাড়ি সহ মালামাল পানিতে পরে যায়। এখানে আমার বিশাল ক্ষতি হয়। সড়কটি মেরামত হলে সকলের জন্যেই ভালো হয়। কৃষক মো. শরীফ বলেন, শীতকালীন বিভিন্ন সবজি চাষের জন্য এই অঞ্চল টি বিখ্যাত। কিন্তু ভাঙ্গা সড়কের জন্য শীতকালীন সবজি আনা নেওয়া করতে সমস্যা হয়। একটু ভালো রাস্তার জন্য অনেকখানি পথ ঘুরতে হয় চাষীদের। এব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, গ্রাম সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে ওই সড়কটি ২০২৩ সালে প্রাক্কলন করা হয়। এর পর এপর্যন্ত ৫ বার দরপত্র আহবান করা হলেও যোগ্য ঠিকাদার পাওয়া যায়নি। ফলে ষষ্ঠবারের মতো দরপত্র আহ্বানের পক্রিয়া চলছে।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com