০৫:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‎নওগাঁর মান্দায় এলজিইডির সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

নওগাঁর মান্দায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডির) সার্ভেয়ার খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারীতা স্বজনপ্রীতি ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সূত্র জানায়, সার্ভার খলিল প্রভাব খাটিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ভাঙ্গিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে মান্দা উপজেলায় কর্মরত ছিলেন এই খলিল। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সখ্যতা করে ঘুষবাণিজ্যের এক মহা সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন সার্ভেয়ার খলিলুর রহমান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডির এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় একযুগ কর্মরত থাকার পর বদলি হলেও লবিং করে এক বছর না যেতে আবারো যোগদান করেন মান্দায়। মান্দায় যোগদানের পর সক্রিয় হয়ে উঠে তার পুরনো অভ্যাস ঘুষ বাণিজ্য। অবৈধভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে নিম্নমানের কাজে সহযোগিতা করে আসছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মৈনম ইউনিয়নের ফকির পাড়া গ্রামের আতাউর রহমান জানান আমার বাড়ির পাশে রাস্তার কাজে সার্ভেয়ার খলিল নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করে গেছে। সিংগি হাট থেকে আন্ধারিয়া পাড়া পাকা রাস্তা রিপিয়ারিং কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আমরা এগুলোর প্রতিবাদ করলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি বরং ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়ে চলে যান। স্থানীয় এক নেতার প্রভাব খাটিয়ে নানা সুবিধা আদায়ে সম্প্রতি এমন অভিযোগ উপজেলা জুড়ে চঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ঠিকাদার মোজাফফর হোসেন জানান, আমি একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার, আমার বেশ কিছু কাজের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন সার্ভেয়ার খলিলুর রহমান। সঠিক কাজ করার পরেও তিনি আমার কাছে (পিসি দাবি করেন) আমি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করেছি! এরপরও আমাকে হয়রানি করেছেন। সার্ভেয়ার খলিলের বিরুদ্ধে এমন অনিয়মের দুর্গন্ধ পুরো উপজেলা ছড়িয়ে পড়লেও এর কিছুই জানেন না স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মান্দা শাখার প্রকৌশলী আবু সায়েদ। তবে সার্ভেয়ার খলিলুর রহমান ঘোষ বাণিজ্য সহ নানা অনিমের কথা অস্বীকার করে বলেন, এটা সত্য যে আমি এর আগেও দীর্ঘ সময় মান্দায় কাজ করেছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে এগুলোর সাথে আমি সম্পৃক্ত নয় আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য এটা একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করি। এ  বিষয়ে মান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আবু সায়দ জানান, আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোন ঠিকাদার বা অন্য কেউ লিখেছে অভিযোগ করেনি। তাই এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে (এসও) এবং ঠিকাদারের মধ্যে কোন অনৈতিক লেনদেন থাকতে পারে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

করিমগঞ্জে মসজিদের দানব্রাক্সেের তালা ভেঙে টাকা চুরি

‎নওগাঁর মান্দায় এলজিইডির সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

নওগাঁর মান্দায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডির) সার্ভেয়ার খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারীতা স্বজনপ্রীতি ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সূত্র জানায়, সার্ভার খলিল প্রভাব খাটিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ভাঙ্গিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে মান্দা উপজেলায় কর্মরত ছিলেন এই খলিল। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সখ্যতা করে ঘুষবাণিজ্যের এক মহা সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন সার্ভেয়ার খলিলুর রহমান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডির এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় একযুগ কর্মরত থাকার পর বদলি হলেও লবিং করে এক বছর না যেতে আবারো যোগদান করেন মান্দায়। মান্দায় যোগদানের পর সক্রিয় হয়ে উঠে তার পুরনো অভ্যাস ঘুষ বাণিজ্য। অবৈধভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে নিম্নমানের কাজে সহযোগিতা করে আসছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মৈনম ইউনিয়নের ফকির পাড়া গ্রামের আতাউর রহমান জানান আমার বাড়ির পাশে রাস্তার কাজে সার্ভেয়ার খলিল নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করে গেছে। সিংগি হাট থেকে আন্ধারিয়া পাড়া পাকা রাস্তা রিপিয়ারিং কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আমরা এগুলোর প্রতিবাদ করলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি বরং ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়ে চলে যান। স্থানীয় এক নেতার প্রভাব খাটিয়ে নানা সুবিধা আদায়ে সম্প্রতি এমন অভিযোগ উপজেলা জুড়ে চঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ঠিকাদার মোজাফফর হোসেন জানান, আমি একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার, আমার বেশ কিছু কাজের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন সার্ভেয়ার খলিলুর রহমান। সঠিক কাজ করার পরেও তিনি আমার কাছে (পিসি দাবি করেন) আমি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করেছি! এরপরও আমাকে হয়রানি করেছেন। সার্ভেয়ার খলিলের বিরুদ্ধে এমন অনিয়মের দুর্গন্ধ পুরো উপজেলা ছড়িয়ে পড়লেও এর কিছুই জানেন না স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মান্দা শাখার প্রকৌশলী আবু সায়েদ। তবে সার্ভেয়ার খলিলুর রহমান ঘোষ বাণিজ্য সহ নানা অনিমের কথা অস্বীকার করে বলেন, এটা সত্য যে আমি এর আগেও দীর্ঘ সময় মান্দায় কাজ করেছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে এগুলোর সাথে আমি সম্পৃক্ত নয় আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য এটা একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করি। এ  বিষয়ে মান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আবু সায়দ জানান, আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোন ঠিকাদার বা অন্য কেউ লিখেছে অভিযোগ করেনি। তাই এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে (এসও) এবং ঠিকাদারের মধ্যে কোন অনৈতিক লেনদেন থাকতে পারে।