
খুলনা শহরের বয়রা এলাকায় ঘরোয়া উপায়ে তৈরি বিষাক্ত দেশি মদ পান করে পাঁচজনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, রায়ের মহল এলাকার বাসিন্দা শেখ মোসলেম আলি (৭৮) দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে একটি হোমিও ফার্মেসির আড়ালে স্থানীয়ভাবে তৈরি মদ বিক্রি করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, এলকোহল, ঘুমের ওষুধ ও চুনের পানি মিশিয়ে তৈরি এই মদেই প্রাণঘাতী বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার রাতে মদ পানের পর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে তোতা মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তির। এরপর শনিবার আরও চারজন মারা যান—আফরোজ হোসেন বাবু (৫০), সাহাবুদ্দিন সাবু (৬০), গৌতম কুমার বিশ্বাস (৪৭) ও আজিবর হোসেন (৫৯)। সবাই খুলনার বয়রা এলাকার বাসিন্দা। মৃতদের স্বজনরা জানান, মদ পান করার কিছু সময় পরই তাদের শরীরে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও কয়েকজনের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আরও একজন এখনও গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোসলেম আলিকে তার বাড়ি থেকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মদ তৈরি ও বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, “এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে অবৈধ মদ উৎপাদন ও বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর মতে, প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এমন বিপজ্জনক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে গোপনে চলছিল।