প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ২৪, ২০২৫, ৭:৩৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২৩, ২০২৫, ৬:২১ এ.এম
সাঘাটায় পুকুরের বিষাক্ত পানি বিলে সেচ দিয়ে মাছ নিধন; থানায় অভিযোগ

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ৬ নং ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা বিলে পূর্ব শত্রুরতার জেরে পুকুরের বিষাক্ত পানি সেচ দিয়ে বিলের মাছ নিধনে থানায় অভিযোগ।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঘুড়িদহ গ্রামের মৃত্যু বদিউরজ্জামানের ছেলে আবু রায়হান চাপুল দীর্ঘদিন থেকে ঝাড়াবর্ষা বিলে বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ আসছেন। এছাড়াও একই গ্রামের মৃত ছায়ের উদ্দিন সর্দারের ছেলে আঃ মজিদ ওরফে মিনাল সরদার তার বাড়ির পাশের একটি পুকুরে বিদেশি জাতের মাগুরের চাষ করছেন।
উক্ত মাগুর মাছের খাদ্য হিসাবে মিনাল সর্দার প্রতিনিয়ত তার পুকুরে বয়লার মুরগীর পচা নারী -ভুরি মিশ্রিত ময়লা আবর্জনা ব্যবহার করায় উক্ত পুকুরের পানি একপর্যায়ে বিষাক্ত হয়ে যায়। মিনাল সর্দার তার পুকুরে থাকা বিষাক্ত পানি সেচ পাম্প দ্বারা গত ২১ জুলাই রাতে চাপুলের ঝাড়াবর্ষা বিলে সেচ দিলে পানি বিষাক্ত হয়ে অনুমান বিভিন্ন জাতের ৫০ মণ মাছ নষ্ট করছেন বলে জানাযায়।ঐ রাতে বিলের পাহারাদার মাছ পাহারা দিতে গেলে অসংখ্য মরা মাছ সহ বিষাক্ত পানি সেচ দিতে দেখে ঐ পাহাদার বিলের মালিক চাপুলকে সেখানে ডাকেন।
রাতে চাপুল ও তার সাথে থাকা পাহারাদার সহ স্থানীয় লোকজনকে বিষাক্ত পানি সেচ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার বিষয়ে জানায়। পরেরদিন ২২জুলাই সকালে মিনাল সর্দারকে বিষাক্ত পানি সেচ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার কারন জানতে চাইলে মিনাল সর্দার তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়।
এ বিষয়ে মিনাল সর্দারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি পানি সেচ দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন- পানি সেচ দিয়েছি, তবে বিলের মাছ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে নয়।
এতে আবু রায়হান চাপুল বাদী হয়ে আঃ মজিদ ওরফে মিনাল সর্দার ও তার ছেলে ময়নুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।
অভিযোগের বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ বাদশাহ আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com