চকরিয়া পৌরসভার ব্যস্ততম সড়কের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পরেই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে চকরিয়া কেবি জালাল উদ্দীন সড়ক, এই সড়ক সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর।উক্ত সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত রয়েছে একাধিক উপজেলার হাজারো মানুষ এবং বিভিন্ন ধরনের যানবাহনসহ মালবাহী গাড়ি চলাচলের একমাত্র পথ।এতে উপজেলার জনগোষ্ঠী বহুল কয়েকটি ইউনিয়নসহ মহেশখালী উপজেলা বাসির যাতায়াতের প্রধান এসড়কটি।এছাড়া বিকল্প সড়ক না থাকায় চরম ভোগান্তিতে জনগণ।
তাছাড়াও দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প,ওইসব প্রকল্পে যাওয়ার প্রধান সড়কপথ এটি,কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের বিভিন্ন ইন্জিনিয়ার সহ শ্রমিক, এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন এই সড়ক দিয়ে, প্রকল্পে সম্পৃক্ত রয়েছেন জাপান - চাইনা সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা বৃন্দ, তাদেরও রয়েছে এই পথে যাতায়াত, তাদের থাকার বাসস্থান রয়েছে চকরিয়া পৌরশহর এলাকায়, ধরতে গেলে এই সড়কটিকে ভিআইপি সড়ক হিসেবে গড়ে তুলা প্রয়োজন ছিল, কিন্তু দূরভাগ্য বশত সড়ক বিভাগের অবহেলায় ও পৌর কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতির কারণে বর্তমানে চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা এবং পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চকরিয়া থানার প্রবেশ দার থানা রাস্তার মাথা হতে থানা সেন্টার ও কেবি জালাল উদ্দীন সড়কের কিছু অংশে সড়ক ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, সড়কের এই বেহাল দশায় নজর নেই সড়ক বিভাগ ও পৌর কর্তৃপক্ষের, জরজীর্ণ রাস্তায় চরমভাবে হতাশায় রয়েছে জনগণ।
সড়কের এই বেহাল দশার কথা সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন আপাতত রাস্তায় আর সিসি বা পিচঢালায় দেওয়ার মতো বাজেট নাই, তাই আমরা যেখানে যেখানে রাস্তা ভাঙ্গনে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে সেখানে কিছু সময়ের জন্য ইট,পাথর দিয়ে মেরামত করছি,
সড়ক বিভাগ তাদের মতো করে বিভিন্ন সময় দেখা যায় ৩ নাম্বার ইট এবং বালু দিয়ে কোনোমতে মেরামত করেন,তাও টিকাদারের দূর্নীতির কারণে তা কিছুদিন যেতে না-যেতেই আবারও সৃষ্টি হয় মরণফাঁদ,অথচ চকরিয়া হতে বদরখালী পর্যন্ত রাস্তায় পিচঢালায় হয়েছে মাত্র কয়েকবছর আগে,তাহলে একটি সড়কের মেয়াদকাল কতোদিন থাকে জনমনে প্রশ্ন।
এছাড়াও রয়েছে পৌরসভার চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের চিরিংগা রাস্তার উভয় পাশের ড্রেনে জমে থাকা ময়লার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলবদ্ধতার, নেই কোনো রেগুলার পরিস্কারের ব্যবস্থা, নেই পানি নিস্কাসন ব্যবস্হা, ফলে একটু বৃষ্টি হলেই জমে থাকে হাটু পরিমান পানি, এই ভোগান্তির শেষ কোথায়, কোন দপ্তরে করবে এসব সমস্যার সমাধান।
তাছাড়া চকরিয়া পৌরসভা প্রবেশ দার কোরক
বিদ্যাপিঠ রোড়,যেখানে রয়েছে সেনা ক্যাম্প,সহ চকরিয়ার সুনামধন্য বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের আাসা যাওয়ায় পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে, চকরিয়া মসজিদ বাইতুশ শরফ রোড়েও একই অবস্থা, মুসল্লীদের রাস্তা দিয়ে নামাজে যেতে হচ্ছে অনেক কষ্টে,৮নং ওয়ার্ডের অবস্থিত মেইন রোড়ের সাথে লাগোয়া সোসাইটি পাড়ায় ঘরবাড়ি সহ রাস্তাটি একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ডোবে থাকে,কষ্টে আছে প্রায় চারশো পরিবার ও একশোর ওপরে বসতির।
চকরিয়া পৌরসভার বলতে গেলে একমাত্র অভিভাবক চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুর রহমান,পৌর মেয়র না থাকায় (ইউএনও) রয়েছেন পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে,ওনার হাতে একাধিক দায়িত্ব থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে বিভিন্ন কাজে,
পৌরসভাবাসি কখন এই দূর্দশা থেকে মুক্তি পাবে,প্রশ্ন থেকে যায় দূর্ভাগা এলাকাবাসীর.
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com