বাগেরহাট বন বিভাগ থেকে জুলাই গণহত্যায় অর্থের যোগানদাতা আওয়ামী দোসর গাজী লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী তুহিন এবং অর্ণব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারীকে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগেরহাটবাসীর পক্ষে প্রধান বন সংরক্ষক এর নিকট অভিযোগটি দায়ের করেন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতিত এসকে বদরুল আলম। এর আগে ১৯ জুন বিভাগীয় কর্মকর্তা সুন্দরবন পূর্ব-বনবিভাগ বাগেরহাট বরাবর একটি আবেদন দাখিল করে আউটসোর্সিং এর কাজ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর গাজী লিমিটেডকে না দেওয়ার অনুরোধ জানান।
জানা গেছে, গাজী লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন যাবত বাগেরহাট বন বিভাগের বিভিন্ন কাজ করে আসছে। গাজী লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী তুহিনের বাড়ি গোপালগঞ্জ এবং সে জুলাই গণহত্যায় সরাসরি জড়িত। তাছাড়া অর্থ দিয়েও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সহায়তা করেছে বলে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। বিগত দিনে বাগেরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তনয়ের বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে বন বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করেছে। আওয়ামী লীগের দোসর তুহিনের সামনে থেকে বন বিভাগের কোন কাজ অন্য কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিতে পারে নাই।
বাগেরহাট বন বিভাগে গত ১৮ জুন আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল সরবরাহের দরপত্র দাখিল হয়। দরপত্রে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর গাজী লিমিটেড এবং মেসার্স অর্ণব এন্টারপ্রাইজ অংশগ্রহণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ১৭ জুলাই সকালে বাগেরহাটবাসী বন বিভাগের সামনে খুলনা বাগেরহাট মহাসড়কে মানববন্ধনের আয়োজন করে তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবি জানান। মানববন্ধনে বলা হয়, গাজী লিমিটেডের মালিক তুহিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। সে আওয়ামী দোসর, এবং জুলাই আন্দোলনের গণহত্যাকারী। সে হত্যাকারীদের অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে। তাছাড়া বন বিভাগে নিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। তার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাদেরকে শারীরিক নির্যাতন করেছে। তারা অনতিবিলম্বে গাজী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান কালো তালিকা ভুক্তির দাবী জানান।
বন বিভাগ থেকে আউটসোর্সিংয়ের কাজটি গাজি লিমিটেডকে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বাগেরহাট বাসী। আবেদন আন্দোলন করার পরেও বাগেরহাট বাসীর দাবি কে অগ্রাহ্য করে একজন আওয়ামী দোসরকে এই সময়ে দরপত্র আহ্বানের সুযোগ দেওয়ায় নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
ঘটনার বিষয় জানতে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরীর অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নাই।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com