প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ৩, ২০২৫, ৭:৪১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ২, ২০২৫, ১১:৫৪ এ.এম
ময়মনসিংহে অনিবন্ধিত সিএনজি চালিত থ্রি হুইলারের সংখ্যা কত? জানে না বিআরটিএ

নেই নম্বরপ্লেট, রুট পারমিট, চালকের লাইসেন্স। এমনকি বাণিজ্যিক চলাচলেরও নেই অনুমতি। তবুুও ময়মনসিংহের সড়ক মহাসড়ক গুলোতে দাপিয়ে চলছে সিএনজি চালিত অনিবন্ধিত থ্রি হুইলার। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে নড়েচড়ে উঠলেও তা আবার থেমে যায় কোন অদৃশ্য কারনে। থ্রি হুইলার গুলোতে নম্বরপ্লেট না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় চলাচল করছে যাত্রীরা। ঘটছেও বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ড। এদিকে বিআরটিএ জানেনা জেলায় অনিবন্ধিত থ্রি হুইলারের প্রকৃত সংখ্যা কত?
মহাসড়কে নিষিদ্ধ থাকলেও ময়মনসিংহে দাপটের সাথে চলাচল করছে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার যানবাহন। অনেকটাই বিলুপ্তের পথে এসব যানবাহনের নম্বরপ্লেট। রুট পারমিট, চালকের লাইসেন্স না থাকলেও শোরুম থেকে গাড়ী নিয়েই চলতে শুরু করছে বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে।
প্রশাসনের উদাসীনতার সুযোগে বেপরোয়া এসব যানবাহন হয়ে উঠেছে দুর্ঘটনার কারন। নম্বরপ্লেট না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় চলাচল করছে যাত্রীরা।
ব্রীজের মোড়ে জয় ঘোষ নামে এক যাত্রী জানান, অনেক সময় সিএনজিতে আমরা মনের ভুলে জরুরী কাগজ, ব্যাগ ইত্যাদি রেখে চলে আসি। সিএনজি অটোরিকশা গুলোতে নম্বর না থাকার কারনে আমরা বুঝতে পারি না কোন গাড়ীতে দরকারি জিনিষপত্র গুলো রেখে এসেছি। যদি নম্বর থাকত তাহলে আমরা সহজেই গাড়ীটি খুজে বের করতে পারতাম এবং হারানো জিনিষ উদ্ধার করতে পারতাম।
টাউন হল মোড়ে তমা রানী নামে আরেক যাত্রী বলেন, আমরা নিয়মিত এসব যানবাহন দিয়ে চলাচল করি। অনেক সময় গন্তব্যে পৌঁছাতে রাত হয়ে যায়। পরিবার এটা নিয়ে চিন্তা করে। কিন্তু পথে যদি কোন বিপদ হয় তাহলে আমরা পরিবার বা পরিচিত কাউকে জানাতে পারব না আমি কোন নম্বরের গাড়ীতে সমস্যার মধ্যে পড়েছি। সিএনজি চালিত অটোরিকশা গুলোতে নম্বর না থাকায় আমাদেরকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএনজি অটোরিকশা চালক জানান, আমরা গাড়ীর কাগজপত্র করতে চাই। কারন এই কাগজপত্র না থাকার কারনে আমরা অনেক জায়গায় যেতে পারি না। কিন্তু গাড়ীর কাগজপত্র করতে গেলে বিআরটিএ অফিসে অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়। এই জন্য আমাদের আগ্রহ কম। যদি গাড়ী রেজিষ্ট্রেশনের প্রক্রিয়া সহজ করে দিতো এবং রেজিষ্ট্রেশন ফি কমানোর ব্যবস্থা করত তাহলে অনেক গাড়ীই কাগজপত্র করে ফেলত।
নিরাপদ সড়ক চাই এর ময়মনসিংহ শাখার সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রতন জানান, সড়ক মহাসড়কে এই অবৈধ যানবাহন বন্ধের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরকে আমরা জানিয়েছি৷ কিন্তু এর প্রতিকার আমরা আজও পাইনি। এসব যানবাহন বন্ধ না হওয়ার কারনে এ অঞ্চলের সড়ক গুলোতে দিন দিন প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে।
এদিকে বিআরটিএ মটরযান পরিদর্শক জহির উদ্দিন জানান, ময়মনসিংহে অনিবন্ধিত সিএনজি চালিত অটোরিকশার পরিসংখ্যান বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। এটা পুলিশ বলতে পারবে জেলায় কতগুলো রেজিষ্ট্রেশন বিহীন এসব যানবাহন চলাচল করছে। কেউ যদি গাড়ী কিনে সাথে সাথে সড়কে চলাচল শুরু করে দেয় আমরা সেটা কিভাবে জানব। তবে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন গাড়ী গুলো নিবন্ধনের আওতায় আনতে প্রশাসনের সহযোগিতায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। সেই সাথে নিবন্ধনের জন্য তাদেরকে উৎসাহিত করা হচ্ছে
বিআরটিএ কাছে অনিবন্ধিত সিএনজি চালিত থ্রি হুইলারের সঠিক সংখ্যা না থাকলেও, সড়ক- মহাসড়কে চলাচলকারী ৯৫ ভাগ এসব যানবাহনের নেই কোন কাগজপত্র।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com