শরীয়তপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে  নিজের বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে। পরে ছেলেও স্ট্রোক মারা যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার মুক্তারেরচর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারী কান্দি গ্রামে। ২৩ মার্চ সন্ধ্যার পর মকবুল হোসেন মোল্লাকে (৫০) তার নিজের ছেলে রুবেল হোসেন মোল্লা(২৮) কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনাটি কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ও এলাকাবাসী মকবুল হোসেন মোল্লাকে নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেয়। রোজার সময় এরকম নির্মম ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মকবুল হোসেন মোল্লার প্রতিবেশী ইদ্রিস আলী বলেন ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে। আমরা কখনোই কল্পনা করতে পারিনি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে এরকম ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হবে। আরেক প্রতিবেশী জেসমিন বেগম বলেন গাছ কাটা কে কেন্দ্র করে নিজের সন্তান তার পিতাকে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করবে তা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। মকবুল হোসেন মোল্লার অন্য  ছেলে বলেন আমার বাবাকে শেষ করে ফেলেছে ,আমার বাবা আর পৃথিবীতে নাই।
অন্যদিকে নিজের পিতাকে নিজেই হত্যা করে পাগল প্রায় রুবেল হোসেন মোল্লাও স্ট্রোক করে মারা যায়। এলাকাবাসী রুবেল হোসেন মোল্লার লাশ তার বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে ফসলের ক্ষেতে  দেখতে পায়। পরে নড়িয়া থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে রুবেল হোসেন মোল্লার লাশ উদ্ধার করে নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান রুবেল হোসেন মোল্লা স্ট্রোক করে মারা গেছে। হয়তোবা নিজের পিতার হত্যার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে স্ট্রোক করেছে  হোসেন মোল্লা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পিতা ও পুত্রের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন পিতা ও পুত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি তবে যেহেতু অপরাধীও স্ট্রোক করে মারা গিয়েছে তাই লাশের ময়নাতদন্তের পরে মামলা করা হবে।