ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেনকে মারধর করেছেন নলছিটি পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য সচিব সোহেল খান ও নব্য বিতর্কিত স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা শাহ ফরিদ।  আজ সকালে পৌরসভায় এই ঘটনা ঘটে  ঘটেছে ।জানা গেছে পৌরসভার এডিপি বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে ১৩ গ্রুপের কাজ টেন্ডার আহ্বান করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। উক্ত কাজগুলো তৎকালীন আওয়ামী ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা ভাকবাটোয়ারা করে ভাগিয়ে নেন। ৫ ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরে সেই কাজগুলো নলছিটি বিএনপি'র কিছু নেতাকর্মীরা হাতিয়ে নেন। এর ভিতরে সুগন্ধা এন্টারপ্রাইজে রাস্তার একটি কাজ নেওয়া হয়েছে। ওই কাজ করার দায়িত্ব নেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য সচিব সোহেল খান। অনুসন্ধান করে জানা গেছে উক্ত কাজ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে করায় পৌর কতৃপক্ষ অসন্তোষ হয় কাজের বিল না দেওয়ার অপারগতা প্রকাশ করে। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহেলের প্রভাবে বাধ্য হয় পৌর ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন বিল ছাড়তে বাধ্য হন। কিন্তু বিল একদিন বিলম্বিত হওয়ার কারণে আজ পৌর ভবনে সন্ত্রাসীরা ঢুকে এলোপাতাড়ি ভাবে পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেনকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। ঘটনাটি স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলে নলসিটি উপজেলা বিএনপি'র বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক সেলিম গাজী দলবল নিয়ে তাকে মামলা না দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। উক্ত ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রশাসন ও শহরের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য এই সোহেল খানের হাতে বিগত কয়েক বছর আগে উপজেলা বিএনপি'র বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম শরীফ লাঞ্ছিত হন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে জানা গেছে স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা সোহেল খান ছাত্র সমাজ করে বিএনপিতে এসে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাফায়াতকে ম্যানেজ করে পোষ্ট বাগিয়ে নেন।