প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২২, ২০২৫, ৬:২৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ৯, ২০২৫, ১০:২৫ এ.এম
নিয়ামতপুরে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার দলিল লেখক সাজেদুল আলমের বিরুদ্ধে ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন। বুধবার (৯ এপ্রিল) নিয়ামতপুর প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন দলিল লেখক সমিতির নেতারা। সাজেদুল আলম গত (৭ এপ্রিল) নওগাঁ শহরে গিয়ে বর্তমান সভাপতি মোজাফফর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যা প্রত্যাখান করে পালটা সংবাদ সম্মেলন করেন দলিল লেখক সমিতির পক্ষে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি মোজাফফর হোসেন বলেন, সাজেদুল আলম সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শচীন চন্দ্রের সময় হিসাব-নিকাশের খাতা দেখাশোনা করতেন। বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তার কাছে বারবার হিসাব চাইলেও তিনি তা দাখিল না করে হিসাবের খাতা লুকিয়ে রাখেন। এতে সমিতির প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ টাকা হিসাবের গড়মিল দেখা যায়। সভাপতি আরও বলেন, ১৩ জন সহকারীর দলিল লেখকের লাইসেন্স করে দেওয়ার নাম করে ৩ লক্ষ টাকা করে ৩৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এখন পর্যন্ত কারও লাইসেন্স করে দিতে পারেনি। সহকারীরা টাকা চাইতে গেলে নানান হুমকি প্রদান করেন। সহকারীদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে বারবার সতর্ক করার পরও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় কার্যকরী কমিটি সাজেদুল আলমকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এর আগেও নানা অপকর্মের কারণে তাকে দু'বার সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। আমাদের ধারনা বিভিন্ন ভাবে টাকা আত্মসাৎ করে তিনি বর্তমানে ২৫-৩০ বিঘা সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। মোজাফফর হোসেনের অভিযোগ, বহিষ্কার হওয়ার পর অপকর্ম আড়াল করতে সাজেদুল আলম সাব-রেজিস্টার, জেলা রেজিস্ট্রার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে সমিতির সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভ, উত্তেজনা ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সাজেদুল আলম সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমরা প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আত্মসাতের টাকা ফেরত ও হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিজেন্দ্রনাথসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে সাজেদুল আলম টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দুটি মৌজার জমি একসঙ্গে রেজিস্ট্রি করতে বাধা দেওয়ায় সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছি। সমিতির টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সহকারীদের লাইসেন্স করে দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com