অমর একুশে বইমেলায় প্রখ্যাত লেখক হুমায়ুন আহমেদের ছবি সম্বলিত একটি প্ল্যাকার্ড স্টলের খুঁটির সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৭ নং প্যাভিলিয়ন অবসর প্রকাশনা সংস্থায় এমন ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে আবহাওয়া পরিস্থিতি কিছুটা প্রতিকূল হওয়ায় ঝড়ো বাতাসের সাথে বৃষ্টি পড়তে থাকে। এসময় অবসর প্রকাশনার পাশে থাকা হুমায়ুন আহমেদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বারবার পড়ে যেতে থাকে। পরে বইগুলোকে বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষা করতে বিক্রয়কর্মীরা প্যাভিলিয়নটি পর্দা দিয়ে ঢেকে দেন। এসময় হুমায়ুন আহমেদের প্ল্যাকার্ডটিও প্যাভিলিয়নের খুটির সাথে বেঁধে দেওয়া হয়। তবে বৃষ্টি থেমে গেলে সেটা আর খুলে না দেওয়ায় সেটা ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন। কেউ নেতিবাচক আবার কেউ বিষয়টি নিয়ে হাস্যরসাত্মক মন্তব্য করে পোস্ট দেন।
স্পোর্টস সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহিদুর রহমান চৌধুরী ফেসবুক পোস্টে বলেন, “এই অসম্মানের দায় সবার আগে স্টল মালিক প্রকাশক, প্রতিষ্ঠানের।”
এ বি এস নিবির নামের এক নেটিজেন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “হুমায়ুন স্যারকে এভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক ব্যপার। কিন্তু কোনো উপায় ছিলো না। ঝড়ের বাতাসে প্লাকার্ড উড়ে যাচ্ছিলো বিধায় স্যারকে বেঁধে রাখা হয়েছে।”
সানাউল্লাহ মিয়া মজা করে লিখেন, “হুমায়ূন আহমেদকে বেঁধে রাখা হয়েছে তাও আবার পিঠ মোড়া দিয়ে। আপনারা কে কোথায় আছেন শাহাবাগে চলে আসেন।”
রাজিব ইসলাম বলেন, “খুব বেদনাদায়ক, আমরা কোথায় নেমে যাচ্ছি!”
সুলতানা রাজিয়া বলেন, “মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয় কোথায় যেয়ে দাঁড়িয়েছে!”
তবে অবসর প্রকাশনা সংস্থার নিজস্ব ফেসবুক পেজে মেসেজ দিলে তারা বলেন, “এটি খুবই সাধারণ বিষয় ছিলো। বৃষ্টি আসছিলো, ভিতরে বই ভিজে যাচ্ছিল। তা রক্ষার জন্য পিলারগুলোতে রশি বেঁধে দেওয়া হয়েছিলো যেন বাতাসে আমাদের পর্দা উড়ে না যায়। এসময় হুমায়ুন স্যারের প্ল্যাকার্ডও বেঁধে রাখা হয়। আর যখন বৃষ্টি থেমে গিয়েছিলো তখন ঐ বাঁধন আর খোলা হয়নি। তখন হয়তো পাঠকরা ছবি তুলেছিলো।”
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com