দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মা-বোনের থানায় দায়ের করা জিডির পর প্রকাশ্যে আসেন এক সময়ের ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি।
প্রকাশ্যে এসেই পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেন তিনি। জানান, বিগত সময়ে পরিবারের সদস্যেরা কিভাবে তাকে ব্যবহার করেছেন।
এরই মধ্যে পপির স্বামী-সন্তানেরও খোঁজ মেলে। জানা যায়, স্বামীর নাম আদনান উদ্দিন কামাল। তিনি একজন জাহাজ ব্যবসায়ী। তাদের সংসারে চার বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে, নাম আয়াত।
পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও বিয়ে সন্তান নিয়ে শুরু থেকেই নীরব ছিলেন পপি। অবশেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় আদনানকে বিয়ের গল্প জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
যেখানে পপি দাবি করেছেন, একটি ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’র পর বাধ্য হয়েই আদনানকে বিয়ে করেছেন তিনি।
পপির ভাষ্যমতে, তার বিয়ের পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু ২০১৯ সালে বাসায় একটা ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ ঘটে। সেদিন অনেক বড় অঙ্কের টাকা চুরি হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় জিডি করেন। পরে তাকে রমনা থানায় ডাকা হয়।
অভিনেত্রী বলেন, ‘সেদিন আদনানকেও ডাকি। থানায় গিয়ে দেখলাম, আমার ভাইবোনেরা। ঘটনা চক্রে জীবন নিয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে হলো, আমি কারও কাছে নিরাপদ নই। ফিল্মের কাজে সবার সঙ্গে মিশেছি ঠিকই, কিন্তু আপনজন কেউ ছিল না। বরাবরই আমি পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ। অথচ এই আমার কাছে পরিবারের সবাই অচেনা হয়ে গেলো। সম্পত্তি ও টাকাপয়সা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। জটিলতার এই পুরো সময়ে আদনান আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছে। কোনো জটিলতাই আমাকে স্পর্শ করতে দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময়ে এমন একজন বন্ধুকে যদি না পেতাম, আমার জীবনটাই বিপন্ন হয়ে যেত। ২০২০ সালের দিকে আবার জটিলতা শুরু হয়। তখনো ভাবলাম, আমাকে মা-বোনেরা বাঁচতে দেবে না। বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি। যোগাযোগ করি আদনানের সঙ্গে। এরপর আমার জায়গাজমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করি। বলতে পারেন, রীতিমতো জীবন বাঁচাতে বাসা থেকে পালিয়ে গেলাম। তখন আমার সামনে দুটি পথ খোলা, হয় আত্মহত্যা করতে হতো, নয়তো ওদের হাতে খুন হয়ে যেতে হতো’
স্বামী আদনানই তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন বলে জানান পপি। অভিনেত্রী এও জানান, এই পরিস্থিতিতে তিনি বিয়ে করতে বাধ্য হন।
পপির ভাষ্যে, ‘২০২০ সালের নভেম্বরে বাসায় কাজি ডেকে আদনানকে বিয়ে করি। সেসময় আমার আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। তবে বিয়েতে আমার মাকে ডাকিনি। হয়তো এটা বিশ্বাস করবে না কেউ, কিন্তু এটাই সত্য, আমার মা চাইতো না আমি বিয়ে করে সংসারী হই।’
উল্লেখ্য, ‘রানীকুঠির বাকী ইতিহাস’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘গঙ্গাযাত্রা’ সিনেমার মতো বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি নায়িকা থেকে ‘অভিনেত্রীর’র খেতাব পান। এমনকি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পপি।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com