প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২০, ২০২৫, ১০:২৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৯:৪১ এ.এম
দেওয়ানগঞ্জে মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের তথ্য ফাঁস

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের শাহাজাদ পুর দাখিল মাদ্রাসার আয়া, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগের জন্য কয়েক লাখ টাকা ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ডিজির প্রতিনিধি লুৎফর রহমান ও মাদ্রাসা সুপার ফরিদের বিরুদ্ধে। আর এ ঘুস বাণিজ্যে সহায়তা করেছেন শাহাজাদ পুর দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী জাহিদ হোসেন বকুল । এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক চাকরি প্রার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেই নিয়োগে পূর্বে নির্ধারিত করা হয় কাকে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আয়া পদে চাকরিরত উমাইয়া আক্তার স্বর্ণা নিজেই জানেনা কোথায় তাদের নিয়োগ পরিক্ষা হয়েছে।তিনি এও জানেনা কোন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিলো।কিভাবে আবেদন করেন তাও বলতে পারে না। বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে লুৎফর রহমানের উপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার আগেই নির্ধারিত চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে চাকরি জন্য কনফার্ম করতে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান অভিযুক্তরা। কিন্তু ডিজির প্রতিনিধি ও মাদ্রাসার সুপার নিয়োগের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চাকরি প্রত্যাশী জানান, শাহাজাদ পুর দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী জাহিদ হোসেন বকুল তাদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ডিজি ও সুপারকে ম্যানেজ করার কথা বলে টাকা নিয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে ভিজির প্রতিনিধি লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মাদ্রাসার সুপার ফরিদ বলেন, মাদ্রাসা সুপারের দায়িত্ব তার হাতে নেই, তাই তিনি কিছুই বলতে পারছেন না। এ নিয়োগের বিষয়ে তিনি মাদ্রাসার অফিস সহকারীর সঙ্গে কথা বলতে বলে। অফিস সহকারী জাহিদ হোসেন বকুল দাম্ভিকতার সাথে বলেন, যা কিছু করা হয়েছে মাদ্রাসার সার্থে করা হয়েছে। নিয়োগর টাকা দিয়ে মাদ্রাসার জানালা, দরজা মেরামত করা হয়েছে। বকুল আরও বলেন, ডিজি প্রতিনিধিরা তাদের মন মতো নিয়োগ পরিক্ষা নেয় তাহলে কম খরচ নেয়। আবার যদি শোনে মনোনীত প্রার্থী আছে তাহলে বেশি টাকা দাবি করে। ডিজি প্রতিনিধি লুৎফর রহমান এ নিয়োগে ২ লক্ষ ষাট হাজার টাকা নিয়েছে। বকুল আরও বলেন, খরচ নেয়া ছাড়া কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।কেউই করতে পারবে না। এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমি কিছু জানিনা। আমি এ উপজেলায় আসার আগে নিয়োগ হয়েছে। আপনাদের কাছে প্রথম শুনলাম। তবে আমি ঘুষ নেওয়া টাকা ফেরত দিতে বলেছি।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com