চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিভিন্ন বাজারে মুদির দোকান, হোটেল-রেস্তারা ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ভেজাল, নকল ও দুষিত খাদ্য বিক্রয় ও বিপনন রোধে স্যানেটারী ইন্সপেক্টর দায়ীত্বে নিয়োজিত রয়েছে। উপজলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তদারকিতে স্যানেটারী ইন্সপেক্টর তার নিয়মান্ত্রিক দায়ীত্ব পালনে উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকান/প্রতিষ্ঠানে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে নিয়মানুসারে বাজার তদারকি ও পরিদর্শন কার্যক্রম চালাবেন। কিন্তু তদারকি ও পরিদর্শন বিধির সব নিয়ম লঙ্ঘন করে তিনি দায়ীত্বের প্রতি চরম উদাসীন। এ পরিস্থিতিতে দায়ীত্ব পালনের নামে প্রতিষ্ঠান/দোকান প্রতি মাসিক ও দৈনিক চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে স্যানেটারী ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে উপস্থিতিতে বায়োম্যট্রিক হাজিরা মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। বয়োমিট্রিক হাজিরা মেশিন স্থাপনের পর হতে কর্মে ফাঁকি দিলে আসতে হচ্ছে জবাবদিহিতার আওতায়। এ অবস্থায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলেও স্যানেটারী ইন্সপেক্টরসহ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বায়োমেট্রিক হাজিরার আওতায় আনা হয়নি। কর্মস্থলে যোগদানের পর হতে শারীরিক অক্ষমতাকে পুজি করে হাজিরা না দিয়ে কর্মে ফাঁকি দিচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। অথচ কর্মস্থলে নিয়মিত অনপুস্থিত থাকলেও প্রতিষ্ঠান/দোকান প্রতি মাসিক ও দৈনিক ধার্য্যকৃত চাঁদা আদয়ের কাজটি করে যাচ্ছেন নিয়মিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন প্রতিষ্ঠান/দোকন মালিক বলেন,‘ প্রতিষ্ঠান/দোকান তদারকি করতে এসে ভূল-ত্রæটি দেখিয়ে নানা রকমের ধমকি দেয় স্যানেটারী ইন্সপেক্টর। ছোট সমস্যাকে বড় করে জেল-জরিমানার ভয় দেখিয়ে টাকা দিতে বাধ্য করেন। এছাড়া লাইসেন্স দেয়ার নামে রশিদ বিহীন মোটা অংক চেয়ে থাকে বলে জানান তারা। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে সব কাজ হয়ে থাকে বলে জানান স্যানেটারী ইন্সপেক্টর শংকর প্রসাদ। এদিকে,‘ কর্মকর্তার উদাসীনতায় খেয়াল খুশিতে দায়ীত্ব পালনকারী স্যানেটারীর ইন্সপেক্টরের চাঁদাবাজীতে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা। জেল-জরিমানার ভয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেও কারো কাছে অভিযোগ করতে পারছে না। উর্দ্ধতন সংশ্লিষ্টদের মদত থাকায় সকল প্রকার নিয়ম ভঙ্গ করছে স্যানেটারী ইন্সপেক্টর। আর এভাবেই চলছে সর্বক্ষেত্রে এ দুই কর্মকর্তার অবৈধ ঘুষের কারবার। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার যোগসাজশে স্যানেটারী ইন্সপেক্টর দুর্ণীতিতে লিপ্ত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.আলতাফ হোসেন তা অস্বিকার করেন। এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. তোহিদুল আলম বলেন,‘ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে দায়ীত্ব পালন করবে। সবাইকে কর্মস্থলে হাজির হয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। স্যনাটারী ইন্সপেক্টরের হাজিরা নিশ্চিত না হওয়ার কারন খোঁজ নেয়া হবে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠান/দোকান হতে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রশাসিক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com