প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৭, ২০২৫, ৩:১২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ১২:২১ পি.এম
ক্ষেতলালে নিখোঁজের ৯ দিন পর আলোচিত কাফির লাশ উদ্ধার

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ০৯ (নয়দিন) আগে নিখোঁজ হওয়া শিশু কাফির লাশ উদ্ধার করেছে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। সরেজমিনে জানাগেছে, ২৬ এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১ টায় মশিউর রহমান কলমের স্ত্রী হাবিবা বেগম গরুর খড় খুলতে গিয়ে দূর্গ্ধ পেয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে ডাক চিৎকার দিতে থাকে। তার এমন চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে গত কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হওয়া কাফি খন্দকার (৮) এর লাশ ভিতর গাড়ী নামে একটি কচুরিপানাযুক্ত পরিত্যক্ত ডোবায় পড়ে দেখতে পান। শিশু নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার পর গতকাল শুক্রবার জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরদিন ওই শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ গ্রামের পরিত্যক্ত ডোবার পারে পাওয়া যায়। এঘটনায় শিশুটির বাবা ইকবাল খন্দকার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে সবুর (৪৫), আলম হোসেন (৪০) এবং মশিউর রহমান কলম (৩৫) আমার ছেলেকে গুম করে হত্যা করে পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রাসেল খন্দকার বলেন, আমার ধারণা শিশুটিকে গুম করার পর হত্যা করে কচুরিপানাযুক্ত ডোবায় ফেলে দিয়েছে। এর সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ ঘটনাকে ঘিরে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) দীপেন্দ্রনাথ সিং বলেন, এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খেলার কথা বলে কাফি খন্দকার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কালীতলা-আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ রোডে সহলাপাড়া মোড়ে মোশারফ হোসেনের দোকানের সামনে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে ওই শিশুটিকে খেলতে দেখা গেলেও এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে ওই শিশুর পরিবার থেকে ক্ষেতলাল থানায় জিডি করা হয়।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com