প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৭, ২০২৫, ৮:১০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ৫:১৯ পি.এম
আখাউড়ায় পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি তিতাস নদীর উপর নির্মিত ২০৮ মিটার বনগজ-কৃষ্ণনগর গ্রামের ব্রিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নির্মাণ কাজ শুরুর পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি তিতাস নদীর উপর নির্মিত ২০৮ মিটার বনগজ-কৃষ্ণনগর ব্রিজ। দরপত্রে উনিশ কোটি টাকায় আড়াই বছর মেয়াদকালের মধ্যে ব্রীজটি সম্পূর্ণ করার কথা থাকলেও কাজের মেয়াদ দুই দফা বাড়ানোর পরেও ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষদের যাতায়াত সুবিধার জন্য তিতাস নদীর ওপর ২০৮ মিটার দৈঘ্যের এই ব্রিজের কাজ শুরু হয় প্রায় পাঁচ বছরে আগে ২০২০ সালে।
এদিকে ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য যেসব মানুষের মালিকানা জমি নেয়া হয়েছে তা অধিগ্রহন হয়নি। জমির টাকা পায়নি কেউ। এ নিয়েও এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার নিম্নাঞ্চল কৃষ্ণনগর, বনগজ ও ভবানীপুর এলাকার জনগণের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এই ব্রিজ নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ১৯ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ২২৫ টাকা ব্যয় ধরে তিতাসনদীর ওপর ২০৮ মিটার লম্বা এই ব্রিজের কাজ শুরু হয়।
আড়াই বছর মেয়াদে হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রিজ নির্মান কাজ শুরু করলেও গত পাঁচ বছরে সেতুর ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের মে মাসে আড়াই বছরের মেয়াদ শেষ হয়। দুই দফা কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তারপরও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গত ৫ বছরে কাজ শেষ করতে পারেনি। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনা।
ঠিকাদার হাসান এন্টারপ্রাইজের লোকজন বলছে কর্মী সংকট ও বর্ষায় পানির কারণে নিয়মিত কাজ করা যায়না তাই ব্রিজ নির্মানে সময় লাগছে বেশী।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান মিয়া, খাজেরা খাতুন, আরব আলী ও জিয়াউর রহমানসহ এখানকার বেশকিছু মানুষ জানায়, এই ব্রিজের সংযোগ সড়ক ও ব্রিজের পাশে নতুন সড়ক নির্মানের জন্য তাদের কয়েক একর জমি নিয়েছে সরকার। গত ৫ বছরেও জমির টাকা তাদের দেয়া হয়নি।
আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন জানান, কর্মী সংকট দেখিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সময় ক্ষেপন করছে। ইতিমধ্যে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
তিনি বলেন, যাদের জমি নেয়া হয়েছে তা অধিগ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে। অধিগ্রহন কার্যক্রম শেষ হলে জমির মালিকরা টাকা পেয়ে যাবেন।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com