বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য একগাদা কঠোর নিয়ম বেঁধে দেয় বিসিসিআই। যার একটি— ৩০ দিনের বেশি সফরে গেলে ক্রিকেটাররা পাঁচটি ব্যাগ নিতে পারবেন। তার মধ্যে দুটি খেলার সরঞ্জামের কিট ব্যাগ। এই পাঁচটি ব্যাগের মোট ওজন ১৫০ কেজির বেশি হলে চলবে না। কিন্তু ভারতের এক তারকা ক্রিকেটার নাকি ওই সফরে একাই ২৭টি ব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল হইচই!
ওই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে হেরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে ছিটকে যায় ভারত। সেই সময় মনে করা হচ্ছিল– ফল পক্ষে না আসায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এমন কড়াকড়ি। সেই ধারণা অমূলক নয়। তবে নতুন করে এক ক্রিকেটারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যাগ বহন এবং তার পেছনে বিসিসিআইয়ের পকেট জরিমানা দেওয়ার বিষয়টি আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, ভারতের একজন তারকা ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়া সফরে মোট ২৭টি ব্যাগ–ট্রলি ব্যাগ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ১৭টি ব্যাট এবং তার পরিবারসহ ব্যক্তিগত কর্মীদেরও জিনিসপত্র ছিল। এই লাগেজের ওজন ছিল প্রায় ২৫০ কেজি। এমনকি অস্ট্রেলিয়াতেও এই লাগেজ নিয়ে সব জায়গায় ঘুরেছিলেন ওই ক্রিকেটার। এতে বিসিসিআইয়ের খরচও লাখ লাখ টাকা বেড়ে যায়। যদিও ওই ক্রিকেটারের নামটি কেউ প্রকাশ্যে আনেনি। তবে আলোচনার শীর্ষে আছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। রোহিত পরিবার না নেওয়া কিংবা দলের সঙ্গে পরে যুক্ত হওয়ায় তার প্রতি মানুষের সন্দেহটা কিছুটা কম–ই!
ওই সিরিজ শেষেই বিসিসিআইয়ের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। যার অনেকটাই এবার অনুসরণ করতে দেখা গেছে রোহিত-কোহলিদের। দীর্ঘ সময় ভারতের সিনিয়র ক্রিকেটাররা রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলেছেন। এ ছাড়া ৩০ দিনের বেশি কোনো সফরে গেলে ক্রিকেটারদের ব্যাগের সংখ্যা ও ওজনও নির্ধারিত করে দেয় ভারতীয় বোর্ড। এ ছাড়া দলীয় অনুশীলনে বাধ্যতামূলক উপস্থিত, সফরে নিজস্ব রাঁধুনি না নেওয়া, জাতীয় দলের সিরিজ বা টুর্নামেন্ট চলাকালে কোনো ফটোশ্যুটসহ নানা কঠোরতা আরোপ করা হয় ক্রিকেটারদের ওপর। এসব নীতি না মানলে দেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা ও চুক্তি থেকে নাম কর্তনের হুঁশিয়ারি।
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়েই এসব নিয়ম কার্যকর হবে বলে ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে বিসিসিআইয়ের নতুন নিয়ম কার্যকর হতে যাচ্ছে। যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হবে টিম ম্যানেজারকে। দলের মধ্যে ‘শৃঙ্খলা, একতা ও ইতিবাচক পরিবেশ’ নিশ্চিত করতে দেশটির চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের জন্য এসব নিয়ম করা হয়। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আর দেভরাজ ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দলের ম্যানেজার হিসেবে যাবেন। বোর্ডের এক সূত্র ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, ‘ক্রিকেটারদের আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই, বিসিসিআই এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) কার্যকরে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে।’
বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়র সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘যদি কিছু পরিবর্তন হয়, তাহলে তা আলাদা বিষয়, কিন্তু এখন পর্যন্ত খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের স্ত্রী কিংবা পরিবার এই সফরে থাকবে না। একজন সিনিয়র খেলোয়াড় এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন এবং তাকে জানানো হয়েছে যে নীতির সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা হবে। যেহেতু সফর এক মাসেরও কম সময়ের, তাই পরিবারের সদস্যরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে যাবেন না। তবে যদি কোনো ব্যতিক্রম হয়, তাহলে ওই ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ খরচ বহন করতে হবে, কারণ বিসিসিআই কোনো খরচ বহন করবে না।’
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com