প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৮, ২০২৫, ১১:১৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ৭:১৪ এ.এম
নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিহত তামিনের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত তামিন হৃদয়ের নামে, বেসরকারিভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন থেকে বরাদ্দকৃত আর্থিক সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে মা'কে বঞ্চিত করে একাই সকল টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে নিহতের পিতা তমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও যেন তামিনের গর্ভধারিণী মাায়ের নাম পুরোপুরি বাদ দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যে তামিনের পিতা বিভিন্ন গণমাধ্যমে মাধ্যমে মিথ্যা মানহানি কর মন্তব্য করে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিকার ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা সমহারে বণ্টনের ব্যবস্থা করতে ছাত্র আন্দোলনে নিহত তামিন হৃদয়ের মা রুমি বেগম গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ১৯ জুলাই শিবপুর উপজেলার ইটাখলা মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় তামিন হৃদয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে তামিন হৃদয়ের নামে আর্থিক সহায়তা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। যা তার গর্ভধারিনী মাকে জানানো হয়নি। সেখান থেকে বরাদ্দকৃত ক্ষতিপূরণের কোন অংশ ও দেওয়া হয়নি তামিনের মা রুমি বেগমকে । সম্পূর্ণ টাকা তামিনের পিতা তমিজ উদ্দিন নিজের কব্জায় রেখেছেন ।
বর্তমানে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেয়েছেন জীবিত 'মা'কে মৃত দেখিয়ে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত সমস্ত অনুদানের টাকা ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা তামিনের পিতা তমিজ উদ্দিন একাই আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন।
আর এসব বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ পরিবারকে সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত আর্থিক অনুদান ও সুযোগ-সুবিধা আইন অনুযায়ী প্রাপ্য অংশ সমাহারে বন্টনের ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন জানান তামিনের মা রুমি আক্তার। এ বিষয়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রুমি বেগম। নিহত তামিন হৃদয়ের পিতা তমিজ উদ্দিন মীর সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তামিন হৃদয়ের ‘মা’ রুমি বেগমের করা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। সরকারিভাবে কিছু অংশ তাকে দেওয়া হয়েছে। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকেও তাকে টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের বিরোধ নিস্পত্তি ও শিবপুর উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অঙ্গীকারণামা দেওয়ার বিষয়ে তিনি তা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী জানান, তামিন হৃদয়ের মা-বাবাকে আইন অনুযায়ী সাহায্য-সহযোগিতা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আইনে যা আছে আমরা তাই করব।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com